ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহালের সাবেক স্ত্রী, নৃত্যশিল্পী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর ধনশ্রী বর্মা এবার জীবনের এক অজানা অধ্যায় সামনে আনলেন। কোরিওগ্রাফার–চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খানের এক ভ্লগে অংশ নিয়ে অকপটে জানালেন নিজের অতীত, স্বপ্ন আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা গল্প।
অনেকে জানেন না, নাচ বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের আগে ধনশ্রী ছিলেন একজন দন্তচিকিৎসক। বান্দ্রা ও লোখান্ডওয়ালায় তার দুটি ডেন্টাল ক্লিনিকও ছিল। সেখানেই চিকিৎসা করতে গিয়ে একবার বলিউড তারকা রণবীর কাপুরকেও পেয়েছিলেন তিনি। ধনশ্রীর ভাষায় ‘রণবীর কাপুরের চিকিৎসা করেছিলাম। ওর মুখটা ছিল একেবারে স্বাস্থ্যকর, ঝকঝকে।’
তবে ডাক্তারি জীবনে যেন কোথাও একটা শূন্যতা ছিল। নাচের প্রতি অদম্য ভালোবাসা তাকে ভিন্ন পথে হাঁটতে বাধ্য করে। সাতজনকে নিয়ে শুরু করা প্রথম ড্যান্স স্কুলই তার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল বড় স্বপ্ন দেখতে। এখন তার ইচ্ছা—শুধু নাচ নয়, অভিনয়, গান আর পারফর্মিং আর্টস মিলিয়ে এক বহুমাত্রিক শিল্পী হয়ে ওঠা। তিনি বলেন ‘আমি মহিলা দিলজিৎ দোসাঞ্জ হতে চাই। আমি পপস্টার হতে চাই।’
ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ভ্লগে খোলামেলা ছিলেন ধনশ্রী। ক্রিকেটার চাহালের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময় গুরগাঁওয়ে ঘনঘন যাতায়াত তাদের দূরত্ব বাড়িয়েছিল বলে জানান তিনি। তার কথায় ‘কঠিন তো হয়ই। গুরগাঁও যেতে হতো। তবে আমি আমার মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
বিচ্ছেদ নিয়েও ধনশ্রীর মন্তব্য সরল ‘ওরা কষ্ট পেয়েছিল। তবে আমরা সৌজন্যতা বজায় রেখে এগিয়ে গিয়েছি।’
২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মা বিয়ে করেছিলেন। তবে ২০২৫ সালেই তাদের দাম্পত্য ভেঙে যায়।
মন্তব্য করুন