মুক্তির প্রথম দিনেই আশাতীত সাড়া ফেলেছে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘আলী’। মাত্র ৯টি শো থেকে ১.০৮ লাখ টাকার সংগ্রহ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, দর্শক পরিবারকেন্দ্রিক ও সংবেদনশীল গল্পের প্রতি আগ্রহী। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরও কেন ‘আলী’র মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা সীমান্ত সম্ভার, এসকেএস, উত্তরার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো শো পাচ্ছে না?
পরিচালক বিপ্লব হায়দারের ‘আলী’ সিনেমাটি কোরবানির ঈদের সময় মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। অবশেষে আজ চারটি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে : ব্লকবাস্টার যমুনা ফিউচার পার্ক, স্টার সিনেপ্লেক্স, লায়ন সিনেমাস এবং মমইন থিয়েটার। সিনেমার গল্প একেবারেই ভিন্ন ধরনের এবং এতে ইরফান সাজ্জাদ একজন বাকপ্রতিবন্ধী ও অটিজমে আক্রান্ত তরুণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ইরফান সাজ্জাদ এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি জানান, শুটিংয়ের চার মাস আগে থেকেই তিনি অন্যান্য কাজ বন্ধ রেখে শুধু চরিত্রের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলার পাশাপাশি যারা অটিজম নিয়ে কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন। তার বিশ্বাস, ‘আলী’ চরিত্রটি দর্শকের মনে ‘দাগ কাটবে’।
পরিচালক বিপ্লব হায়দার দর্শকের এমন ভালোবাসায় উচ্ছ্বসিত। তিনি আশা করছেন, গোটা সপ্তাহজুড়েই দর্শকের এমন উপস্থিতি থাকবে। সিনেমায় ইরফান সাজ্জাদ ছাড়াও শতাব্দী ওয়াদুদ, কাজী হায়াৎ, মিশা সওদাগরসহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
প্রাথমিক সাফল্যের পর সিনেমার কলাকুশলী এবং দর্শক মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, একটি ফ্যামিলি বেইজড ও সংবেদনশীল সিনেমা যদি প্রথম দিনেই এমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়, তবে আরও শো পেলে তা আরও ভালো করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। অনেকে মনে করছেন, প্রতিদিন অন্তত একটি করে শো ‘আলী’কে দেওয়া হলে সিনেমাটি নিজেই তার জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে। আর যদি তা না পারে, তবে সেই শো অন্য সিনেমাকে সহজেই দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগটুকু না দেওয়াটা কতটা ন্যায্য, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বিশেষ করে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায়, যেখানে মাল্টিপ্লেক্সের দর্শক অনেক বেশি, সেখানে ‘আলী’র কোনো শো না থাকায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ‘আলী’র প্রথম দিনের সংগ্রহ আশাব্যঞ্জক, যা প্রমাণ করে যে ভালো গল্পের প্রতি দর্শকের আগ্রহ এখনো অটুট।
মন্তব্য করুন