তারকাদের ভিডিও ফাঁসের ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে রাজ-পরীর সংসার। পরীমণি ও রাজ দুজনেই জানিয়েছেন তারা একে-অপরের সঙ্গে আর থাকতে চান না। তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই কঠিন সময়ে পরীমণির পাশে দাঁড়ালেন অপু বিশ্বাস। পরীমণিকে ভুল না বোঝার আহ্বান জানান এই অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘পরীমণিকে আমরা সাপোর্ট করি। আমরা যেন তাকে ভুল না বুঝি। প্রতিটি ভুলের পেছনে দুজনেরই দোষ থাকে। কিন্তু বেলাশেষে মেয়েদেরই দায়ী করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মেয়েকে তার নিজের জায়গা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেটি হয়, আমি মেয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, চুপ করে থাকব। সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
পরীকে এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে না পড়ে উদাহরণ হতে বললেন অপু। অভিনেত্রী বলেন, ‘পরীমণি তুমি অনেক স্ট্রং। তুমি আরও ভালো কিছু করো, যেন তোমাকে দেখে আরও ১০ জন শিখতে পারে।’
সম্প্রতি রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির আপত্তিকর কিছু ভিডিও ফাঁস হয়। সুনেরাহ বিনতে কামাল পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনিই ভিডিওগুলো ফাঁস করেছেন। জবাবে পরীমণি জানান, ভিডিও ফাঁস তো দূরের কথা। রাজ তার সঙ্গে এখন থাকেই না। গত ২০ মে থেকে পরীর বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে শরিফুল রাজ। এরপরই বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে রাজ-পরীর সংসারে। এদিকে রাজ-পরীর দাম্পত্য কলহ যে বেশ বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে তার প্রমাণ মিলেছে তাদের কথাবার্তাতেও। একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যেই পরীমণি বলেছেন তিনি আর রাজকে নিজের জামাই হিসেবে ভাবতে চান না। অপরদিকে রাজ জানিয়েছেন, পরীমণির সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন তিনি।
তাদের এই বাগবিতণ্ডায় এবার উঠে এসেছে কাবিননামার প্রসঙ্গও। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে রাজ-পরীর বিয়ের কাবিননামা। পরীমণি জানান, গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে রাজ। শুধু ছেঁড়া বললে ভুল হবে, ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। তখন রাজ পরীকে বলেছিল, এ বিয়ে সে মানে না।
পরী জানান, তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন রাজের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে। এমনকি রাজের হাত পা-ও ধরেছেন পরী। কিন্তু রাজ পরীর সঙ্গে থাকতে চায় না। শুধু তাই নয়, যাওয়ার আগে পরীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
নিজের অতীত সুখকর নয় উল্লেখ করে পরী জানান, এটা সত্যি তার অতীত খুব একটা সুখকর না। এত কিছুর পরেও তিনি রক্ত মাংসের মানুষ। অন্তত, সন্তানের মুখের দিকে চেয়েও সংসারের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। সেটাও আর হয়ে উঠল না।
মন্তব্য করুন