ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমদ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে তাকে হাজির করা হয়। অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ডেমরা থানা পুলিশ।
এদিকে নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেছেন তার সাবেক স্ত্রী সালসাবিল। নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি। কারও বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারও পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কীভাবে কাউকে আটকে রাখবে?’
এছাড়া নোবেল মাদকাসক্ত উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, ‘সে দীর্ঘদিন রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে।’
এরআগে মঙ্গলবার নারী নির্যাতন মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই বছর আগেও নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেবার প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু পরে আর তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলার গানের শো ‘সা রে গা মা পা’য় অংশ নিয়ে সবার নজরে আসেন নোবেল। তার গান দর্শকের মনে স্থান করে নেয়। পরে তার বেশ কিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। তবে নোবেল ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। সবশেষ শাকিব খান অভিনীত বরবাদ সিনেমায় মহামায়া গান গেয়ে আলোচিত হন নোবেল।
বলে রাখা ভালো, একাধিক বিয়ে করেও আলোচনায় এসেছিলেন এ গায়ক। কিন্তু কোনো সংসারই স্থায়ী হয়নি। ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করে আলোচনার সৃষ্টি করেন নোবেল। কিন্তু মাদক ত্যাগ না করায় সে সংসার টেকেনি। এরপর ২০২৩ সালের শেষে ফের নোবেলের বিয়ের খবর সামনে আসে।
মন্তব্য করুন