

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া দেশব্যাপী আরও কয়েকজন এনসিপি নেতার পদত্যাগের খবর পাওয়া গেছে।
পদত্যাগের বিষয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর কে দলে থাকবেন বা থাকবেন না, সেটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আর বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করার ঘটনার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তিগুলো জুলাই প্রজন্মকে দমন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদী শক্তির কবল থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের আট দলের জোটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে। এ জোটের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, দুর্নীতি, সংস্কার ও বিচার ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করা হবে।
নাহিদ ইসলাম আরও জানান, সোমবার প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে এবং আগামীকালই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে।
জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক দায় এনসিপি নিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেবল নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়ার উদ্দেশেই এই জোট গঠন করা হয়েছে। তবে এনসিপি তাদের নিজস্ব লক্ষ্য ও আদর্শ অনুযায়ী কাজ করে যাবে।
এর আগে, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন পুলিশ বাহিনীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করত, সেই একই বাহিনী এখন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে।
মন্তব্য করুন