‘আমি হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালা’, ‘এ মন আমার পাথর তো নয়’ এমন অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন শুভ্র দেব। তার ক্রিকেটের গান ‘গুড লাক বাংলাদেশ, গুড লাক’ ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এক উন্মাদনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারানোর পর এই গানটি বাজিয়ে দেশজুড়ে উৎসব শুরু হয়। এ ছাড়া ২০০০ সালে মিনি বিশ্বকাপ থিম সংসহ সর্বোচ্চ থিম সং তারই গাওয়া।
এখন পর্যন্ত আর্চারি, ফুটবল, ক্রিকেটসহ ছয়-সাতটি থিম সং করেছেন শুভ্র দেব। এবার একুশে পদক পেলেন গুণী এই শিল্পী।
রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননা প্রাপ্তির পর অনুভূতি ব্যক্ত করে শুভ্র দেব বলেন, এমন একটি দিন আসবে আমার বিশ্বাস ছিল। জীবনের এই প্রাপ্তিতে বাবা-মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এমন প্রাপ্তিতে স্ত্রী-পরিবারসহ সবাই অনেক আনন্দিত। আমি তো দীর্ঘদিন ধরে সংগীতে কাজ করে চলেছি। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আমার।
পুরস্কারটি পাওয়ার পর কেউ কেউ বলছেন অনেকটা আগেই একুশে পদক পেলেন শুভ্র দেব। গায়কের জবাব, দেখুন, আরও অনেক আগেই এই পুরস্কার পেতে পারতাম আমি, এটা আমার দিক থেকে মনে করি। কারণ আমি শুধু গান গাইনি। গান নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করেছি। বিবিসি এশিয়া টিভিতে প্রথম আমার গান দেখানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আশির দশকে গানের জগতে পথচলা শুরু করেন শুভ্র দেব। তবে নব্বই দশকে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন