২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধি, মান উন্নয়নে যথাযথ নীতিনির্ধারণীমূলক উদ্যোগ নেওয়া, পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে বিনা পয়সায় ওষুধ খাওয়ানো, সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় লিফলেট বিতরণ এসব কাজ গুরুত্বসহকারে করতে হবে।
যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদ সদস্যদের ‘টি বি ককাস’ এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাবিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভায় সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন।
সোমবার সকাল ১১টায় পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এন টি পি), আইসিডিডিআর, বি এবং প্রিপ ট্রাস্টের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সংসদীয় যক্ষ্মা ককাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ও প্রধান অতিথি ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক বলেন, নবজাতককে টি বি ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও এটা আজীবন সহায়তা দেয় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এজন্য স্থানীয় জনগণের মধ্যে যক্ষ্মাবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে। অ্যাডভোকেসি প্রোগামটিকে কীভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাও গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সংসদীয় যক্ষ্মা ককাসের সদস্য সচিব ও প্রিপ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরমা দত্ত, এমপি বলেন, আমাদের অঙ্গীকার, ২০৩৫ সালের মধ্যে কীভাবে যক্ষ্মা নির্মূল করব। এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও অঙ্গীকার ছিল, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অঙ্গীকার। প্রত্যেক হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের জন্য যে মেশিন রয়েছে এটা অনেকেই জানেন না।
তিনি আরও বলেন, হতদরিদ্র মানুষ যারা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেন তাদের কোনো কাজে নিলে পরিচয় পত্র নিই। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যের কথা আমূলে নেওয়া হয় না। তাদের মাধ্যমেও যক্ষ্মা ছড়ায়। এই বিষয়টি আমলে নিলেই যক্ষ্মা নির্মূল করা যাবে।
প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ড. ওমর ফারুক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০১ এর ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি, লুৎফুন নেসা খান, এমপি, পাবনা-২ এর আহমেদ ফিরোজ কবির , এমপি, অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, প্রিপ ট্রাস্টের উপপরিচালক শেফালী বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন