আমরা অনেকেই জানি ব্যায়াম শরীরের জন্য কতটা দরকারি; কিন্তু বাস্তব জীবনে সেটা মানা অনেক কঠিন হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজের দৌড়ঝাঁপ, অফিসের চাপ, বাসার দায়িত্ব—এসবের মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করাই কঠিন।
অনেক সময় আমরা ভাবি, একটু ফাঁকা সময় হলে শুরু করব—কিন্তু সেই ‘ফাঁকা সময়’ যেন কখনোই আসে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে মেদ জমে, ক্লান্তি বাড়ে, শক্তি কমে—তবুও ব্যায়ামটা হয়ে ওঠে না।
কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন, যদি প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়ামে আপনি নিজের শরীর ও মনকে আরও ভালো রাখতে পারেন, তাহলে সেটা কি খুব কঠিন বিনিয়োগ? চলুন আজ জেনে নিই পুরুষদের জন্য ব্যায়াম কতটা জরুরি।
পুরুষদের জন্য ব্যায়ামের উপকারিতা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে কী কী লাভ হয় জানতে চান? যে কোনো চিকিৎসকই বলবেন, ব্যায়াম আপনার জীবন ও স্বাস্থ্যের মান উন্নত করবে। নিচে পুরুষদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেওয়া হলো:
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে
- কোলেস্টেরল কমে
- হতাশা ও উদ্বেগ কমে
- উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে
- রক্তনালিগুলো আরও ভালো কাজ করে
- ওজন কমে
- বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ভালো থাকে
- কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে
- হাড় শক্তিশালী হয়
- যৌন স্বাস্থ্য উন্নত হয়, বিশেষ করে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকি কমে
আরও পড়ুন : টক পালংশাকের উপকারিতা জানলে খাবেন প্রতিদিন
আরও পড়ুন : ফ্রিজে রাখা ময়দা কি আসলেই বিষ? জানুন পুষ্টিবিদের বক্তব্য
আমার কতটুকু ব্যায়াম করা উচিত?
উপকার জানলে অনেকেই ভাবেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম না করলে বুঝি কোনো লাভই হবে না; কিন্তু ব্যাপারটা তা না। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেও ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের মতো অনেক রোগের ঝুঁকি কমে।
আর যদি তার সঙ্গে সপ্তাহে ২-৩ দিন, ৩০ মিনিট করে শক্তিবর্ধক ব্যায়াম (যেমন: ওজন তোলা, পুশ আপ, স্কোয়াট) যোগ করতে পারেন—দারুণ হবে! প্রথমে একটু কঠিন মনে হলেও, ধীরে ধীরে আপনি সহজেই সময় বের করতে পারবেন। যদি আরেকটু বেশি সময় দিতে পারেন, আরও ভালো!
জীবনের মান উন্নয়ন
নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, মনও ভালো রাখে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিরক্তি—এগুলোর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। অফিস থেকে এসে ক্লান্ত লাগছে? হালকা ব্যায়াম করলে মন চাঙ্গা হয়ে যাবে।
মাত্র ৩০ মিনিট মাঝারি মানের ব্যায়াম করলেও আপনার শক্তি বাড়বে, ঘুম ভালো হবে, আর নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করবেন।
২৫ হোক বা ৫৫ – সবার ব্যায়াম দরকার
আপনার বয়স যতই হোক না কেন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট নিজের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যের জন্য সময় দিন। এটা যতটা কঠিন মনে হয়, আসলে ততটা না। শুরু করাটাই সবচেয়ে কঠিন। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে, আর পেছনে তাকাতে হবে না।
তাই নিজের জন্য এই একটুখানি উপকার করুন—আজ থেকেই শুরু করুন!
মন্তব্য করুন