

আপনার কি ক্লান্ত বা অলস লাগছেন? পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়ালের মতে, এটি আয়রনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে, যা আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিকে প্রভাবিত করে।
যদি আপনি ক্লান্তি কমাতে এবং আরও শক্তিশালী অনুভব করতে চান, তিনি পরামর্শ দেন সঠিক খাবারের মাধ্যমে আয়রনের মাত্রা বাড়ানোর। আয়রন বাড়ালে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন ভালো হয়, যা রক্তের লাল কণিকাকে শরীরজুড়ে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে।
নমামি আগরওয়াল তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন, ‘আপনি চাইলেই স্বাদে মজাদার, প্রাকৃতিকভাবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মাধ্যমে শরীরকে শক্তি দিতে পারেন।’
ডালিম এবং বিটরুট : এই শক্তিশালী যুগল আয়রন বাড়াতে চমৎকার। ডালিমের বীজে প্রচুর আয়রন থাকে, আর বিটরুট শরীরকে সেটি শোষণ করতে সাহায্য করে। এগুলো স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন, স্যালাডে মিশিয়ে খেতে পারেন, অথবা তাজা বিটরুটের জুস হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।
আঙ্গুরের বীজ (Garden Cress Seeds) : ছোট ছোট এই বীজগুলো আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। স্যালাড, সুপ বা দইয়ে ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন—মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর উপায় আয়রন বাড়ানোর জন্য।
প্রুন এবং খেজুর : প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এই খাবারগুলো আয়রন পাওয়ার মজাদার উপায়। এদের মধ্যে ফাইবারও থাকে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় তৃপ্ত এবং শক্তিশালী রাখে। যেমন আছে তেমনি খেতে পারেন বা কেটে ওটমিল বা মিষ্টিতে মিশিয়ে নিতে পারেন।
রাজমা : অনেকের প্রিয় খাবার রাজমা আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস। সুস্বাদু কারি বানিয়ে খেতে পারেন, স্পাইসি চিলিতে যোগ করতে পারেন, বা শুধু স্যালাডে মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক খাবার বানাতে পারেন।
সরষে ও মেথি পাতা : এই সবুজ পাতাগুলো হয়তো কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, কিন্তু এগুলো আয়রনে সমৃদ্ধ। কারি, দলে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন, বা একটু রসুন দিয়ে সাঁতলিয়ে খেতে পারেন—স্বাদ এবং পুষ্টিতে ভরপুর।
নমামি আগরওয়াল তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন, ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আয়রন শোষণ আরও বাড়াতে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে মিলিয়ে খেতে পারেন, যেমন: সিট্রাস ফল, আমলা, পেয়ারা বা বেল পেপার।’
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন