কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারামুক্ত হলেন সেই বাবা

কারামুক্ত হলেন হাবিবুর রহমান । ছবি : কালবেলা
কারামুক্ত হলেন হাবিবুর রহমান । ছবি : কালবেলা

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু আদিবাকে (৭) ভর্তি করাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বাবা হাবিবুর রহমানের জামিনের পর কারামুক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হন। এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমামের আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

কারামুক্ত হয়ে হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, 'সারাদিন দাড়িয়ে থেকে অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছি৷ এখন কোন কথা বলার মতো অবস্থা নেই।'

আরও পড়ুন: আজ একই মঞ্চে ফাঁসি হবে দুই আসামির

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল মান্নান।

অন্যদিকে আসামি পক্ষে তার আইনজীবী মো. মোরাদুল আরিফিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।জামিন শুনানিতে বাদী বনি আমিন উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন জামিন দিলে আপনার কোন আপত্তি আছে কি না। তখন তিনি আপত্তি নেই বলে জানান। এরপর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই আসামি মো. হাবিবুর রহমান তার ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চাকে নিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রুমে প্রবেশ করেন। রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে হাসপাতালে কোন বিছানা খালি না থাকায় ও রোগী রেফার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা থাকায় রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। তবে আসামি উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসক বনি আমিনকে প্রহর ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। তখন তার স্ত্রীও তাদের মারতে উদ্যত হলে ওয়ার্ড বয় জুয়েল এগিয়ে আসলে তাকেও মারা শুরু করে।

তখন আত্মরক্ষার জন্য রুমের দরজা বন্ধ করে ফেললে তারা উত্তেজিত হয় উপস্থিত নার্স রোজিনাকে মারধর করে। হাসপাতালের দরজা ও জানালায় লাথি মারতে থাকে।এক পর্যায়ে আসামি ভিডিও করা শুরু করেন ও ফেসবুক লাইভে গিয়ে অকত্য ভাষায় গালাগালি করেন।পরে পুলিশ ও আনসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তাদের হামলায় চিকিৎসক বনি আমিনের বাম হাতের ছোট আঙ্গুল ভেঙে যায় ও ঠোঁট ফুলে যায়। ওয়ার্ড বয় জুয়েল ও নার্স রোজিনা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এ ঘটনায় চিকিৎসক বনি আমিন বাদী হয়ে রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে : ডিআইজি শাহজাহান

শাকিব নিজেই জানালেন হানিয়ার সঙ্গে একটা মুভির কথা হচ্ছে

হিরো আলম গ্রেপ্তার

প্রথমে যা দেখলেন, তাই বলবে আপনি জাজমেন্টাল মানুষ কি না

বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি করে একটি দল ফায়দা নিতে চায় : মির্জা ফখরুল

ইসলামিক ফিন্যান্সের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে ঢাকায় বসছে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সামিট

‘ঈশ্বর আমাদের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ দিয়েছেন’

আসিফ ইমরানের পাশে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ’

মরদেহের পায়ে নাম লেখা, নেপথ্যে কী

আপনারা কিন্তু পালানোর পথ পাবেন না : গোলাম পরওয়ার

১০

অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার

১১

নওগাঁয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল শাহ বহিষ্কার

১২

তেল ছাড়াই রান্না করুন স্বাস্থ্যকর, হালকা ও সুস্বাদু মুরগির মাংস

১৩

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

১৪

আগুনে পুড়ল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের বাড়ি

১৫

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

১৬

ঢাকায় ২৪তম আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ২৮ নভেম্বর 

১৭

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে’

১৮

ভুলে প্রতিপক্ষের সমাবেশে নেমে পড়ল হেলিকপ্টার, অতঃপর...

১৯

গণভোটের চারটি প্রশ্নের একটিতে না বলার সুযোগ কোথায় : রিজভী

২০
X