

কথায় আছে, ‘মাইগ্রেন আছে যার, শত্রুর অভাব নেই তার।’ এই ব্যথা যারা একবার অনুভব করেছেন, তারা জানেন এর যন্ত্রণার কোনো তুলনা হয় না। মাথায় তীব্র ব্যথা শুরু হলে রোদ, শব্দ, আলো—সবকিছু অসহ্য মনে হয়। অনেক সময় অ্যাসিডিটি, মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমও মাইগ্রেনের ট্রিগার হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ব্যথা একবার শুরু হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি পুরো দিনটাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আজকের ব্যস্ত জীবনে মাইগ্রেন অত্যন্ত সাধারণ এক সমস্যা। বিশেষ করে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারে, ঘুমের অভাবে, কিংবা বায়ুদূষণের কারণে এই সমস্যা বাড়ছে। তবে ভারতের খ্যাতনামা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কল্লোল দে তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, একটি সহজ উপায়ে মাত্র ১৫ মিনিটেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কিছুটা উপশম করা সম্ভব।
কেন হয় মাইগ্রেনের ব্যথা?
ডা. কল্লোলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মাইগ্রেনের সময় মাথার রক্তনালিতে ব্লাড ফ্লো বেড়ে যায়। এই বাড়তি রক্তপ্রবাহই ব্যথার মূল কারণ। যখনই এই ফ্লো হঠাৎ বেড়ে যায়, তখনই মাথার ভেতরে চাপ সৃষ্টি হয়ে যন্ত্রণার সূত্রপাত হয়।
কী করবেন প্রথম ১৫ মিনিটে?
চিকিৎসকের পরামর্শ—
১️. অন্ধকার ও নিরিবিলি জায়গায় চলে যান। প্রথমেই আলো বন্ধ করুন বা আলো কম এমন কক্ষে গিয়ে বসুন। ২️. গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। এক বালতি গরম (সহনীয় তাপমাত্রার) পানিতে এক মুঠো ম্যাগনেশিয়াম সালফেট বা এপসাম সল্ট মিশিয়ে নিন। ৩️. তারপর দুটো পা পুরোপুরি সেই পানিতে (পাতা পর্যন্ত) ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১০-১৫ মিনিট।
ডা. কল্লোল দে জানান, গরম পানিতে পা রাখলে রক্তনালি দিয়ে রক্তপ্রবাহ নিচের দিকে বাড়ে। ফলে মাথায় অতিরিক্ত চাপ কিছুটা কমে যায়, ব্যথাও ধীরে ধীরে উপশম হয়।
সতর্কতা
তবে, মাইগ্রেনের ব্যথা যদি ঘন ঘন হয় বা খুব তীব্র হয়, তাহলে এই পদ্ধতি সাময়িক আরাম দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিয়মিত চিকিৎসা ও লাইফস্টাইল মেনে চললেই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সূত্র : দ্য ওয়াল
মন্তব্য করুন