কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

করোনাকালে সেবা দেওয়া ২৮ শতাংশ চিকিৎসক অবসাদে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষ মানসিক পীড়া ও চরম অবসাদে ভুগছেন। এর মধ্যে মানসিক পীড়ায় ভুগছেন ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং চরম অবসাদে ভুগছেন ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।

আলাদাভাবে চিকিৎসকদের ২৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, নার্সদের প্রায় ৩১ শতাংশ, অন্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রায় ২৭ শতাংশ, হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ শতাংশ এবং হাসপাতালের অন্য কর্মীদের প্রায় ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ মানসিক পীড়া ও চরম অবসাদে ভুগছেন।

জার্মান সাময়িকী স্প্রিঙ্গারের অনলাইনে প্রকাশিত এক বৈশ্বিক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রাণঘাতি এ মহামারির সময় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর কেমন মানসিক ধকল গেছে, সে চিত্র উঠে এসেছে ‘রেজাল্টস অব দ্য কভিড-১৯ মেন্টাল হেলথ ইন্টারন্যাশনাল ফর দ্য হেলথ প্রফেশনাল স্টাডি : ডিপ্রেশন, সুইসাইডাল টেন্ডেনসিস অ্যান্ড কন্সপিরেসিজম’ শীর্ষক এ গবেষণায়।

বিশ্বের ৪০টি দেশের জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ থেকে এক চিকিৎসকসহ তিনজন এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রকাশিত এ গবেষণায় করোনাকালে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

এ গবেষণায় বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশের ৫৫ হাজার ৫৮৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের ছিলেন ৩ হাজার ৩৩ জন, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫ শতাংশের বেশি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যায় রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও গ্রিসের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ছিলেন ১২ হাজার ৭৯২ জন, যার ৬২ শতাংশ হলেন নারী।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রায় ৮১ শতাংশ বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করে গেছেন। অংশগ্রহণকারীদের বড় একটি অংশ পরিবারের লোকজনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং সম্পর্কগুলো আরও মজবুত করার তাগিদ অনুভব করেছেন। প্রায় ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনার কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীরা চরম মানসিক অবসাদ, অনিদ্রা ও পিটিএসডিতে (ঘটনাপরবর্তী উৎকণ্ঠা) ভুগেছেন। তবে ওই সময় তথ্যের ঝড় বইতে থাকে, সেসব তথ্যের অনেকটির নির্ভরযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

স্প্রিঙ্গারে প্রকাশিত গবেষণায় বাংলাদেশ থেকে এক চিকিৎসকসহ তিনজন যুক্ত ছিলেন। তারা হলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাসদিক এম হাসান ও শাহাদাত হোসেন।

হেলাল উদ্দিনের মতে, গবেষণাটি ভবিষ্যতে মহামারি বা বড় বিপর্যয়ে মানসিক সুস্থতার বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় মানসিক সুস্থতার জন্য সেবা, যত্ন, সচেতনতা ও প্রস্তুতি কী রকম হওয়া উচিত, সে বিষয়ে গবেষণাটি দিকনির্দেশক হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা জটিলতায় টেলর সুইফট

পুরো অ্যাশেজ থেকেই কি ছিটকে গেলেন অজি তারকা?

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল

ঢাবি শিক্ষক কার্জনের জামিন

৩ বছর বিদেশে থেকেও ভোগ করেন বেতন-ভাতা

রহস্যময় বেলুনে লিথুনিয়ার বিমানবন্দর বন্ধ

বাউল শিল্পী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা

রাতে ঘুমানোর আগে ঘরোয়া টোটকায় পা হবে নরম তুলতুলে

সিনিয়রদের মুখের ভাষাকে দুর্ভিক্ষ বলে এনসিপি নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

‘আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে’

১০

২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ভূমিকম্প

১১

রোনালদোর অবিশ্বাস্য বাইসাইকেল কিকে আল-নাসরের টানা নবম জয়

১২

দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১৩

মার্কিন ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

১৪

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১৫

বনশ্রীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর

১৬

ধরা দেওয়া শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর যা বললেন আকবর

১৭

মানুষ ইসলামের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে : চরমোনাই পীর

১৮

লা লিগায় আবারও হোঁচট খেল রিয়াল

১৯

হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

২০
X