আপনি যদি ভ্রমণপ্রিয় হন, চাইলে নিজের গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলে করে শুধু দেশ নয় বিদেশও ঘুরে আসতে পারেন। এবং সেটা নিয়মিতই যেতে পারেন। আজ জেনে নেওয়া যাক নিজের ব্যক্তিগত বাহন নিয়ে কীভাবে দেশের বাইরে ভ্রমণের নিয়মকানুন।
এজন্য আপনার যা যা কাগজপত্র লাগবে:-
১. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতিপত্র
২. ব্যাংক গ্যারান্টি
৩. কারনেট
৪. ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট
৫. ইনস্যুরেন্স
৬. ৩০০ টাকার ইন্ডেমনিটি বন্ড
৭. যে দেশে যাবেন তার ভিসা
৮. ট্রাভেল ট্যাক্স
পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন যেভাবে:-
প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। অনুমতি পাওয়ার পর সেই অনুমতিপত্র নিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনে। সেখানে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেলের কারনেটের জন্য করণীয়গুলো তারা জানিয়ে দেবে।
এরপর আপনাকে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেলের দামের সমতুল্য অথবা কম বেশি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। টাকার পরিমাণ কত লাগবে সেটা তাদের সঙ্গেই আলোচনা করে নিন। ব্যাংক গ্যারান্টি রিফান্ডেবল।
বর্ডারে গিয়ে ৩০০ টাকার ইন্ডেমনিটি বন্ড এবং আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেলের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতিপত্র দেখিয়ে কমিশনারের কাছে বন্ড জমা দিন। তারপর কমিশনারের নির্দেশক্রমে বাকি কাজ তারাই করে দিবে। এজন্য কাউকে কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া লাগবে না।
তারপর ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে ফেলে সোজা নো মেনস ল্যান্ডে চলে যান। সেখানে বাংলাদেশের সাইডে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে আপনার কারনেট জমা দিন। উনি কারনেটের একটি সাদা অংশ কেটে রেখে দেবে এবং বইটির উপরের সাদা অংশে তার সিল ও স্বাক্ষর দিবেন। অবশ্যই উপরের সাদা অংশে তার সিল ও স্বাক্ষর দেওয়া আছে কিনা তা খেয়াল করবেন।
এবার ভারতের সীমানায় কাস্টমস অফিসে গিয়ে কাস্টমস অফিসারের কাছে আপনার কারনেট দিয়ে ইমিগ্রেশনে চলে যান। সেক্ষেত্রে আপনার সময় বেঁচে যাবে। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে কাস্টমস অফিসারের কাছ থেকে ঠিক একই নিয়মে আপনার কারনেটের বুকের উপরের সাদা অংশে সিল ও স্বাক্ষর আছে কিনা চেক করে নিন। অফিসার আপনাকে কারনেটের সুবিধায় গাড়ি/মোটরসাইকেল নিয়ে কত দিনের মধ্য ফিরে আসতে হবে তা বলে দিবে এবং যদি সময়মতো ফিরে না আসেন তাহলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেবে।
আপনি আপনার ভ্রমণ শেষে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেল এবং কারনেটের বুকসহ বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করুন। তারা আপনার ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজ করে দিবে।
এই আনুষ্ঠানিকতাগুলো শেষে এবার আপনি নিশ্চিন্ত মনে ঘুরে বেড়াতে পারেন। অবশ্যই কারনেট , পাসপোর্ট এবং এই সংক্রান্ত সব কাগজপত্র নিজ দায়িত্বে যত্ন করে রাখবেন।
কেমন হতে পারে খরচ
অনুমতির জন্য সাধারণত কোনো টাকা লাগে না। তবে কারনেটের জন্য সাধারণত ১২ হাজার টাকা লাগে। আর ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিংপারমিট- আড়াই হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন