বর্ষা এলেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। সন্ধ্যা নামতেই যেন ঘরে বাইরে শুরু হয় মশার উৎপাত। শুধু বিরক্তিই নয়—মশার কামড় থেকে হতে পারে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ, আবার সঙ্গে মেলে অসহ্য চুলকানি।
মশা যখন কামড়ায়, তখন একধরনের লালা আমাদের ত্বকে প্রবেশ করায়, যেটা শরীর ‘বিপদ’ হিসেবে ধরে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে ত্বকে লালচে ভাব, ফোলাভাব আর চুলকানি শুরু হয়। আর সেটা ঘষতে ঘষতে ত্বকে আবার হতে পারে ইনফেকশন।
ভয়ের কিছু নেই! কিছু ঘরোয়া উপায় মানলেই এই চুলকানি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন, জেনে নিই সহজ কিছু উপশম পদ্ধতি:
১. ঠান্ডা সেঁক (Cold Compress)
মশার কামড়ের জায়গায় বরফের টুকরো বা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় ১০–১৫ মিনিট ধরে চেপে ধরুন। এতে ফোলাভাব ও চুলকানি দুইই দ্রুত কমে।
২. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতরের জেলটা খুবই আরামদায়ক। কামড়ের জায়গায় খাঁটি অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালা ও লালচে ভাব কমে যায়। প্রয়োজনে বাজারের অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন (যত কম কেমিক্যাল থাকে, তত ভালো)।
৩. বেকিং সোডা পেস্ট
১ চা চামচ বেকিং সোডা ও অল্প পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানান। কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলকানি ও জ্বালাভাব দুইই কমে।
৪. গরম চামচ পদ্ধতি
একটা ধাতব চামচ কিছুক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম চামচটি চুলকানির জায়গায় আলতো করে চেপে ধরুন। এই গরম ভাব চুলকানির কারণ হয়ে থাকা প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।
৫. ভিনেগার (Apple Cider বা সাদা ভিনেগার)
১ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার মশার কামড়ের জায়গায় লাগান। চাইলে তুলোয় ভিজিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলকানি অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
কিছু বাড়তি টিপস:
- নখ দিয়ে চুলকাবেন না, তাতে ঘা হয়ে যেতে পারে
- খুব বেশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ক্রিম বা ওষুধ নিতে পারেন (ডাক্তারের পরামর্শে)
- মশা থেকে বাঁচতে মশারি বা মশারিটিং ব্যবহার করুন
চুলকানি যতই বিরক্তিকর হোক না কেন, তা সামলানো সম্ভব—সঠিক যত্ন আর সামান্য সচেতনতা দিয়েই। আর সবচেয়ে ভালো হয়, যদি মশার কামড়ই না খেতে হয়!
মন্তব্য করুন