

চুলকানি প্রায়ই ছোটখাটো ত্বকের সমস্যা মনে হলেও, অনেক সময় এটি শরীরে বড় অসুখের ইঙ্গিতও দিতে পারে। সাধারণ অ্যালার্জি বা খুস্তি ছাড়া কখনো কখনো লিভার, কিডনি, থাইরয়েড, এমনকি ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুখের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। তাই চুলকানি লেগে থাকলে সঠিক কারণ জানা গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন জেনে নিই অন্য যেসব কারণে চুলকানি হতে পারে—
লিভারের অসুখ: দীর্ঘস্থায়ী লিভার সমস্যায় চুলকানি খুব সাধারণ। বিশেষ করে হাতের তালুতে শুরু হয়ে শরীরের অন্য অংশে ছড়াতে পারে।
কিডনি রোগ: দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগেও ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। ডায়ালাইসিস নিচ্ছে এমন রোগীরাও প্রভাবিত হতে পারে।
অটোইমিউন রোগ: শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলভাবে নিজেকেই আক্রমণ করলে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগের সঙ্গে এটি যুক্ত।
থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুলকানি হতে পারে। সাধারণত এটি চুল, ত্বক ও নখকে প্রভাবিত করে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস: রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হলে চুলকানি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন অংশে বা মাথায়।
দাদ: দাদের সময় ত্বকে চুলকানি হয়, সঙ্গে ফোস্কুড়ি, ব্যথা বা ঝিনঝিন অনুভূতিও থাকতে পারে।
ক্যানসার: কিছু ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে চুলকানির সম্পর্ক থাকতে পারে। যেমন লিভার ক্যানসার, পিত্তথলির ক্যানসার, হেমাটোপয়েটিক সিস্টেমের ক্যানসার ও ত্বকের ক্যানসার।
চুলকানি সাধারণত ছোটখাটো সমস্যা হলেও, দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক চুলকানি কখনো গুরুতর অসুখের সংকেত হতে পারে। তাই হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা চুলকানি উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে
মন্তব্য করুন