

অনেকেই মনে করেন, দাম্পত্যে সবকিছু খোলাখুলি জানা উচিত। এমন মানুষদের মতে, প্রয়োজনে একজন অন্যজনের ফোন বা মেসেজ দেখতেও পারেন। কিন্তু সত্যি কথা হলো, সম্পর্কে ব্যক্তিগত সম্মান থাকাটা খুব জরুরি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দাম্পত্যে নয়, সন্তান বা বাবা-মায়ের মধ্যেও ব্যক্তিগত পরিসর থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। প্রত্যেকের জীবনেই কিছু গোপনীয়তা থাকতে পারে। সেগুলোকে সম্মান করলে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।
অন্যের ফোন বা মেসেজ ‘না’ জানিয়েই দেখা শুধু অশোভনই নয়, সমস্যাও বাড়ায়। এতে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকে। একজন মানুষ মেসেজের কিছু কথোপকথন দেখে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন। পুরো সত্য না জেনে ভুল ধারণা নিয়ে থাকলে সম্পর্কই নষ্ট হয়। সন্তানের ফোনও অনুমতি ছাড়া দেখা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি, সঙ্গীর ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য সম্মান করা জরুরি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্গীর ফোন বা মেসেজ অনুমতি ছাড়া দেখা কখনোই ভালো না। যদিও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কারণে ব্যতিক্রম হতে পারে। মূল কথা হলো, সম্পর্কের ভিতে বিশ্বাস থাকা। বিশ্বাসের অভাব থেকে যদি কেউ অন্যের ফোন চেক করেন, সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন- কারও ব্যক্তিগত জায়গায় না ঢুকে, কোনো সন্দেহ থাকলে খোলাখুলি কথা বলা। ফোন বা মেসেজ দেখা থেকে ভালো উপায় হলো সরাসরি আলোচনা করা।
গোপনীয়তা ও সততা একসাথে সম্ভব?
মানুষ কখনো কিছু ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখতে চাইলে তা সম্পর্কের প্রতি অসৎ হওয়ার প্রমাণ নয়। বরং একে অপরের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। গোপনীয়তা বজায় রেখে সম্পর্কেও সততা রাখা সম্ভব।
যদি বিশ্বাস থাকে, তাহলে কখনো সঙ্গীর ফোন দেখার মানসিকতা তৈরি হয় না। সম্পর্কের স্থায়িত্বের জন্য বিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর কোনো সন্দেহ থাকলে সরাসরি আলাপ করলে অনেক সমস্যা মিটে যায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন