ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, খেলা যদি মিরপুরের মাঠে হয়, তবে সিলেট বা চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে গিয়ে লাভ আছে? কোটার বিষয়টি এখন আদালতের কাছে আছে, আর এরা (আন্দোলনকারীরা) শাহবাগে মোড়ে মোড়ে বসে আছেন। এই ব্লকেড ব্লকেড খেলা কি কোনো প্রক্রিয়া?
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কোটা ইস্যুটি এখন আদালতের হাতে। আদালত ‘স্ট্যাটাস কো’ দেওয়ার পরে মোড়ে মোড়ে ব্লকেড করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনো সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না।
আদালতের আদেশের পরও আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে সাদ্দাম বলেন, কোটার জন্য জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে আইনসংগত পদ্ধতি মেনে সমাধান করা যায়। তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও রয়েছে কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা যাচ্ছেন না। মূল আন্দোলনকারীরা আদালতের রায় মেনে নিয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। বর্তমানে আদালতের স্থিতি আদেশ দেওয়ার পরেও যারা অবরোধ করছেন তারা প্রফেশনাল আন্দোলনকারী।
সাদ্দাম আরও বলেন, কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে সেই ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানের দাবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ছাত্রলীগ কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধান করবে। যেই সমাধানটি কল্যাণকর ও টেকসই হয় সেই ব্যবস্থাই করবে ছাত্রলীগ। এই ইস্যুতে সরকার পক্ষের আইনজীবীরাই তো লড়ছে। সরকার নিজেই তো বলছে, কোটা ইস্যুতে সরকার আন্তরিক।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আদালত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে সিদ্ধান্ত দিলেও একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় রয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই ৪ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এরপরও এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন কোটাবিরোধী আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে আর খেলবেন না। এই মূহূর্তে অবরোধ বা জনদুর্ভোগের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এই অচলাবস্থা ও অবরোধ যেন শিক্ষার্থীরা তুলে ফেলে এবং ক্লাসে যেন ফিরে আসে সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, একটি পক্ষ সাধারণ ছাত্রদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সেসব শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আদালত তো রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ের পরে আর কোনো আন্দোলন থাকে না। যেটি থাকে সেটি হলো অপরাজনীতি।
মন্তব্য করুন