সারা বিশ্বে প্রায় ২৪ লাখ ডায়াসপোরা বাংলাদেশি আছেন। যারা বিদেশের সম্প্রদায়গুলোতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের বিশেষ দক্ষতা, জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতার মাধ্যমে অবদান রাখছেন। এই ডায়াসপোরাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকায় জাতীয় ডায়াসপোরা নীতির খসড়া যাচাই করার জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করে। যা জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্ভাবনাকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।
এ কর্মশালা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতা করেছে মন্ত্রণালয়। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) দ্বারা অর্থায়িত টেকসই উন্নয়নের জন্য মাইগ্রেশন ওয়ার্ক মেকিং (তৃতীয় পর্যায়) সংক্রান্ত গ্লোবাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে নীতির কাজটি করেছে আইওএম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, জাতীয় ডায়াসপোরা নীতি আমাদের প্রবাসীদের ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন (জিসিএম) বাস্তবায়নে একটি চ্যাম্পিয়ন দেশ হিসেবে আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো, ডায়াসপোরাদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, রেমিট্যান্সের বাইরেও অন্যান্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে ডায়াসপোরাদের সম্পৃক্ত কারার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। আমাদের ডায়াসপোরাদের বিনিয়োগকারী, ভোক্তা, পর্যটক, পাবলিক কূটনীতিক এবং আমাদের জাতির মুখপাত্র হিসেবে দেখি। জাতীয় এই নীতির লক্ষ্য তাদের আরও কার্যকরভাবে জড়িত করার জন্য একটি ব্যাপক এবং কৌশলগত পদ্ধতি প্রদান করা। বাংলাদেশি ডায়াসপোরা সদস্যদের জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের উন্নয়নের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই অবদান রাখতে পারে। ২০২১ সালে আইওএম "বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসীদের সক্রিয় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ" শীর্ষক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। যেটি ডায়াসপোরার বিভিন্ন দিক বুঝতে সহযোগিতা করে এবং নীতি প্রণয়নে অবদান রেখেছে। কর্মশালায় আরও অংশগ্রহণ করেন, মো. হামিদুর রহমান, মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড; মো. শহিদুল আলম এনডিসি, মহাপরিচালক, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি); ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বিওইএসএল); অধ্যাপক আবুল বারকাত, প্রধান উপদেষ্টা, মানব উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (এইচডিআরসি); ড. নাসিম আহমেদ, যুগ্ম সচিব, গবেষণা ও নীতি শাখা; ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত; মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী (সিআইপি), সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশন।
মন্তব্য করুন