প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। ছাত্র-জনতার আলটিমেটামের পর শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত নেন।
পদত্যাগ করার কারণ হিসেবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডগুলো রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেস টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমগুলো রক্ষার স্বার্থে আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
এদিকে আজ দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইন মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। কর্মকর্তারা এ নিয়ে কাজ করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সে সময় বলা হয়েছিল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
ওবায়দুল হাসান জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন।
তারও আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেয় তারা।
শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আলটিমেটাম দেন। এ সময় শত শত শিক্ষার্থী হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।