টানা বৃষ্টি, উজানের ঢলে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কায় কাটছে বন্যার্তদের।
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিলেও ভয় নেই তিস্তাপাড়ের মানুষের। তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে বাঁধে পানির চাপ বাড়লেও তিস্তায় বন্যার শঙ্কা নেই। মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নদীভাঙনে হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার। নদীগর্ভে চলে গেছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।
জানা গেছে, গত দুদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উজানের ঢল যে কোনো সময় লালমনিরহাটে প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করছে জনসাধারণ।
তিস্তাপাড়ের এক বাসিন্দা জানান, গত দুদিনে তিস্তার পানি একটু একটু করে বাড়ছে। অনেকে মনে করছে, ভারতের বাঁধ ভেঙে তিস্তা নদীতে বন্যা শুরু হবে। তাই দুদিন ধরে আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তিস্তাপাড়ের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এদিকে লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জেলার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মন্তব্য করুন