বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (বসিক) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা এবং ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর সাবেরা খাতুন স্কুল কেন্দ্রে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভোটারদের বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক কর্মী।
ওই কর্মী অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রে হাঙ্গামার খবর শুনে শায়খ (প্রার্থী ফয়জুল করীম) আসেন। কিন্তু কিছু লোক তাকে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। আমাদের প্রার্থী তাদের কাছে জানতে চান, আপনারা কারা? তারা বলে, আমরা ভোটার। এটা বলেই আওয়ামী লীগের সব পোলাপান (ছাত্রলীগ) হঠাৎ হামলা শুরু করে দিয়েছে।
‘তারা বাঁশ দিয়া মারে, লাঠি দিয়া মারে, ইট দিয়া মারে,’ বলেন ওই কর্মী। আরও পড়ুন : হঠাৎ আমার ওপর হামলা শুরু হয়ে গেছে : ফয়জুল করীম
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, ‘র্যাবের গাড়ি ছিল, পুলিশের গাড়ি ছিল, পুলিশ-বিজিবি ছিল। কেউ কোনো কথা বলে নাই।’
ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ওই কর্মী। তিনি বলেন, ‘ভোটারদেরই তারা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয় না। পাঞ্জাবি, দাড়ি-টুপি দেখলেই কেন্দ্রে ঢুকতে দেয় না। মনে করেছে তারা হাতপাখায় ভোট দেবে।’ আরও পড়ুন : খুলনা সিটি নির্বাচন/ভোট দিচ্ছে হাতপাখায়, যাচ্ছে নৌকায়
নির্বাচনের পর আবারও হামলার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, আমাদের লোকই কম, যারা আছে তাদেরও মেরে কেন্দ্র থেকে পাঠিয়ে (বের করে) দিচ্ছে। আমরা তো জিততে পারব না; জিতবে তো নৌকা। আমি জানি না আজকের পর আমরা বরিশালে থাকতে পারব কিনা।
নৌকায় কেউ ভোট দেবে না জেনেই তারা এমন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘নৌকার যদি ভোট থাকত, তাহলে তো হাঙ্গামার দরকার ছিল না।’
মন্তব্য করুন