অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একইসঙ্গে পরিচয় না দিয়ে কোনো অবস্থাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে, পরিচয় না দিয়ে কোনো অবস্থাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
এদিকে, অস্ত্র-গোলাবারুদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে থানায় জমা না দিলে অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৪ শাখার উপসচিব মো. আরিফ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত করা লাইসেন্সের অধীন থানায় জমা না করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী/সংস্থার বেহাত/হারানো অস্ত্রসহ যে কোনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনার নিমিত্তে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স গ্রহীতাকে এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স স্থগিত এবং স্থগিতকৃত লাইসেন্সের অনুকূলে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা প্রদানের বিষয়টি অবহিতকরণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ণিত লাইসেন্স স্থগিত ও সংশ্লিষ্ট অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা প্রদান এবং ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা ও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তাছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করবেন। সভায় স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করবেন। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও জানানো হয়, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনাররা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা কর্তৃক প্রণীত স্থগিতকৃত লাইসেন্সধারীদের তালিকা এবং নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত জমাকৃত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তালিকা ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণ করবেন।
মন্তব্য করুন