নৌপরিবহন অধিদপ্তর সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে ভর্তিবাণিজ্য চলার অভিযোগ করেছেন চাকরিবঞ্চিত সাধারণ নাবিকরা। তারা বলেছেন, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ভর্তিবাণিজ্যের কারণে প্রায় এক হাজার নাবিক এখনো চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নাবিকরা এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে চলমান বৈষম্য নিরসনে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও সরকারি শিপিং অফিসের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ এবং এ দুই সংস্থাসহ সমগ্র নৌপরিবহন সেক্টর সংস্কারের দাবি জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. সাব্বির হোসেন ও সমন্বয়ক ইমরান শেখসহ বেশ কয়েকজন নাবিক বক্তৃতা দেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মেরিটাইম সেক্টর থেকে প্রতি বছর দেশে যে রেমিট্যান্স আসে তার পরিমাণ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপরও এই সেক্টর চরমভাবে অবহেলিত। সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষই মেরিন সেক্টরকে পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করে না। বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে অপসারণ দাবি করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (সংযুক্তিতে) মনজুরুল কবির, চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার-সিএনএস (চলতি দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের পরিচালক ও নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমান, নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ আহমেদ এবং সরকারি শিপিং অফিসের শিপিং মাস্টার জাকির হোসেন।
বক্তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের কারিকুলাম এবং সনদের মান এক। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোনো শিপিং কোম্পানির দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে আমরা চাকরি করতে পারি না। ২০১৫ নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিপিং মাস্টার একটা খসড়া আইন পাস করিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা নাবিকদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন।
মন্তব্য করুন