কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু’ অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু’ অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে একাডেমি। ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ শিরোনামে মাসব্যাপী কার্যক্রম পালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ২২ শে শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ৮২ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিান।

রোববার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. কাজল রশীদ। আলোচনায় তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তার সমস্ত লেখালেখির মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করেছেন, রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গল্প, কবিতায় বাঙালি সংস্কৃতির একটা শক্তিশালী উপস্থাপন দেখি।’ আলোচক ড. কাজল রশীদ বলেন, ‘বঙ্গীয় রেঁনেসা বা বঙ্গীয় নবজাগরণের পূর্ণতা, পরিপূর্ণ হয় রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। একইভাবে বাংলাদেশের সকল মানুষকে একত্রে করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি সংস্কৃতির মৌলিকত্ব তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিতে পেরেছিলেন।’

সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘কবিগুরুকে বঙ্গবন্ধু গুরুর মতো মানতেন। ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ কর নি… কবিগুরুর সেই বাণীকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ১৯৭৫ এ ১৫ আগস্ট আবারও যেন সেই বাণীই সত্য হয়ে ওঠলো। আমাদের বন্যা খরার দেশ হিসেবে যেভাবে তিরস্কার করা হতো, এখন এখানে যত বন্যা খরা হয়, যারা আমাদের নিয়ে সমালোচনা করে তাদের দেশে এসব আরও বেশি হয়ে ওঠে। ২০৪১ সালে বিশ্বে একটা মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা গড়ে ওঠবো।’

আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কবিতা নিয়ে সাজানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল দলীয় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা ‘আলো আমার আলো/আনন্দলোকে মঙ্গলালোক/আমরা নতুন যৌবনের দূত’ পরিবেশন করেন একাডেমির শিশু-কিশোর দল। একক সংগীত ‘পথের শেষ কোথায় কি আছে’ পরিবেশন করেন বুলবুল ইসলাম। সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীত ‘তোমায় নতুন করে পারো/তবু মনে রেখো’। মহাদেব ঘোষের কন্ঠে ‘চরণ ধরিতে দিও গো আমারে’; মনীয়া সরকারের কন্ঠে ‘গোধূলি গগনে মেঘে ঢেকেছিলো তারা’; মেরী দেবনাথ এর কন্ঠে ‘শ্রাবনের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’; দেবলীনা সুর এর কন্ঠে ‘তোমার প্রাণ মন লয়ে’; মোহনা দাসের কন্ঠে ‘সমুখে শান্তি পারাবার’/নয়ন ছেড়ে গেলে চলে’। আনিসুর রহমান তুহিন এর কন্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আছে দু:খ আছে মুদু’; অনীমা রায় পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীত ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল’; সাব্রিনা খান পরিবেশন করেন ‘তোমার খোলা হাওয়া’/জীবন মরণের সীমা ছাড়ায়ে’; বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন, গগন অন্ধকার’ একক সংগীত পরিবেশিত হয়। আশরাফুল আলম পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘বাসা বাড়ী’। সবশেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত দল পরিবেশন করে রবীন্দ্র সংগীত ‘কান্না হাসির দোল দোলানো’ ও ‘সমুখে শান্তি পরিবার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুসজ্জিত গাড়িতে পুলিশ কনস্টেবলের রাজকীয় বিদায়

বালু চুরি, সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

এবার মুরাদনগরে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

২০১৮ সালের রাতের ভোট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক সিইসি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় হাসপাতালের পরিচালক নিহত

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি হবে কি না, জানালেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

ক্রিকেট ছাড়ার পর রেসলিংয়ে নাম লেখাতে যাচ্ছিলেন সাবেক ইংলিশ তারকা!

তাজিয়া মিছিল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ

১০

অপ্রত্যাশিত ধসের আক্ষেপে তাসকিন

১১

ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ, হলে কী করবেন?

১২

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক তৌহিদুলের শুধু বদলি নয়, অপসারণ চান কর্মকর্তারা

১৩

আরবের কোথায় গেলে খরচ কম, কোথায় সবচেয়ে বেশি

১৪

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৫

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 

১৬

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৭

বাসায় তৈরি ক্রিমেই দূর হবে মুখের দাগছোপ

১৮

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ সদস্য নিহত

১৯

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প

২০
X