কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত

চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সব সদস্য সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানান।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো। এর উৎস ২০১৮-এর নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নষ্ট করা হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও লোপাট করেছে আমলারা। তারপর দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে রাজনৈতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে। সে সঙ্গে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না। পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কি কি উদ্যোগ নেবে সেগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে। আরও দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. একে এনামুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ব্যয় তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য ড. আবু ইউসুফ বলেন, রাজস্ব বোর্ড যে পরিমাণ টিন সার্টিফিকেট থাকার দাবি করে, সে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় না। এমনকি কেউ মারা গেলে সেই সার্টিফিকেট বা নম্বর কী হবে, সেটির কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নেই। রাজস্ব বোর্ড সেটা কমিটিকে দিতে পারেনি। কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার কোনো সঠিক কাঠামো নেই।

কমিটির সদস্য ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসনের জন্য মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। অভিবাসনের মাধ্যমেও অর্থ পাচার হয়েছে।

কমিটির আরেক সদস্য ড. সেলিম রায়হান বলেন, যেসব খাতে সংস্কার দরকার সেখানে শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে হবে।

সদস্য ড. ইমরান মতিন বলেন, ১০ শতাংশ মানুষের কাছে ৮৫ ভাগ সম্পদ।

কমিটির সদস্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব টাকা লোপাট করা হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের ঘাড়ে সে বোঝা থেকে গেল।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারি তথ্য-উপাত্তে বড় গলদ আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদে থেকে উপদেষ্টারা ভোট করতে পারবেন কি না, জানালেন ইসি সানাউল্লাহ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি জানাতে যমুনায় সিইসিসহ কমিশনাররা

হাড়কে মজবুত রাখাবে যেসব খাবার

সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে তুলার গোডাউনের আগুন

গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবি, নিহত ১৮

জন্মদিনে ময়ূরীকন্যার পোস্ট ভাইরাল

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.২৯ শতাংশ

নিজ বিদ্যালয়ে অতিথি হয়ে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০

গায়েহলুদ শেষ, তবুও ভাঙল গায়ক-ক্রিকেটারের বিয়ে

১১

এনসিপির নির্বাচনী জোট ঘোষণা

১২

৮ কুকুরছানা হত্যা মামলার আসামি সেই গৃহবধূর জামিন

১৩

ফের বিতর্কে কঙ্গনা রানাউত

১৪

বিরতি ভেঙে ফিরছেন রাধিকা আপ্তে

১৫

মান্ধানার বিয়ে বাতিলের ঘোষণায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে যা বললেন পলাশ

১৬

এনায়েত সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার শওকত মাহমুদ

১৭

জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১৮

সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১৯

ক্ষমা চাইলেন সেই চিকিৎসক

২০
X