কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শ্বেতপত্র কমিটির কাজ চুরির বর্ণনা দেওয়া, চোর ধরা নয় : ড. দেবপ্রিয়

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কাজ চোরের বর্ণনা দেওয়া, চোর ধরা নয় বলে জানিয়ে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রকাশিত শ্বেতপত্রে কোন ব্যক্তির দোষ খোঁজা হয়নি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শ্বেতপত্রটি গবেষণা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে আমরা করেছি। এই দলিল করতে গিয়ে যেই তথ্য উপাত্ত প্রাসঙ্গিক হিসেবে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। দেশি-বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনাও আমরা করেছি। এই গ্রন্থসত্ত্ব আমাদের কাছে নয়, এটা সরকারের কাছে থাকবে।

তিনি বলেন, মোট ১২ জন নামজাদা অর্থনীতিবিদ নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছিল। একটি প্রতিনিধিত্বশীল কমিটির মাধ্যমে এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, দুর্নীতির পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। এই কমিটির কাজ চোর ধরা না, চুরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা।

কমিটির প্রতিটি সদস্য বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে। এমনকি যতটি সভা হয়েছে সেখানে একটি পয়সা সিটিং অ্যালাউন্স নেওয়া হয়নি।

তবে বিদেশি পরামর্শক এনে এই শ্বেতপত্র করা হলে ন্যূনতম ২৫ কোটি টাকা খরচ হতো বলে জানান ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি এই কাজ দেশের জন্য নিঃস্বার্থ অবদান হিসেবে করেছে, যা দেশের স্বার্থে উদহারণ হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, রিপোর্টটিকে সাবধানতার কারণে এখনো খসড়া হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিছু পরিসংখ্যান পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে এটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা হবে। এই রিপোর্টের গ্রন্থস্বত্ব স্বয়ং বাংলাদেশ সরকার। এটিকে সরকার নিজস্ব দলিল হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।

প্রথাগত গবেষণা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রতিবেদনের নানা দিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে আমরা নিজেরা ১৮ বার সভা করেছি। নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ২২ বার সভা করেছি। আমাদের প্রথম সভা ছিল ছাত্রদের সঙ্গে। তাদের সর্বোচ্চ জোর ছিল মানসম্মত শিক্ষার ওপরে। শ্বেতপত্রের পুরো প্রক্রিয়া না বুঝলে এই দলিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। জনমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে এটি প্রস্তুত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিষের বোতল নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে যুবক

অপহরণের পর একই পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

ভারত চিঠির জবাব না দিলেও হাসিনার বিচার চলবে : তাজুল ইসলাম

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

সাতক্ষীরায় বিপুল মাদক ধ্বংস করল বিজিবি

কোরআন শিখে বাইসাইকেল পেল ৫ শিশু

জবিতে বোরকা পরে গিয়েও ধরা পড়লেন ছাত্রলীগ কর্মী

ময়মনসিংহ নগরীতে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, চালকদের বিক্ষোভ

মেডিকেলে দেশসেরা সুশোভন বাছাড়

উদ্বোধন হলো ফিনলে সাউথ সিটি শপিংমল

১০

কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী মারা গেছেন

১১

নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১২

রিভালদোর মন্তব্যের জবাবে কী বললেন নেইমার?

১৩

বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি

১৪

পুলিশের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৫

শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী

১৬

বাংলাদেশি কর্মী নেবে রাশিয়া, আলোচনা শুরুর আগ্রহ

১৭

যেভাবে জানা যাবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল

১৮

চিটাগাং কিংসের বিরুদ্ধে বরিশালের সহজ জয়

১৯

শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী

২০
X