ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে আপাতত কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করবে না।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হলেও পথচারী ও বাইসাইকেল চলবে না। এ ছাড়াও আপাতত মোটরসাইকেলও চলাচল করবে না।
একই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন এই উড়ালসড়কে চলতে পারবে না বলে জানান মন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন বিকেলে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পরের দিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। আর যান চলাচলে আপাতত সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
বর্তমানে প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলে জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিমি এবং র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১.০ কিমি। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিমি। এ অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয় সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।
মন্তব্য করুন