কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিড়ালের মালিকানা নিয়ে তুলকালাম

লিওন নামে এই বিড়ালটি নিয়ে বিবাদের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : সংগৃহীত
লিওন নামে এই বিড়ালটি নিয়ে বিবাদের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : সংগৃহীত

একটি পোষ্য বিড়ালের মালিকানা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে লঙ্কাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই বিবাদটি নিজেরা সমঝোতা করতে না পারায় অবশেষে অভিযোগটি গিয়েছে আইজিপির কাছে।

জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় একটি বিড়াল ছানাকে পাঁচ মাস আগে কোলে তুলে নিয়েছিলেন রিজিয়া বেগম নামে এক গৃহিণী। বিড়াল ছানাটিকে যত্ন করে বড় করেন তিনি। নাম রাখেন ‘লিওন’। ধীরে ধীরে মায়া যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি বাড়তে থাকে লিওনের চঞ্চলতা, দুষ্টুমি। রিজিয়া বেগমের মনের ভাষাও যেন বুঝতে শিখে যায় লিওন। খাবার খেতে টেবিলে বা সোফায় বসা, নিজে নিজে বাথরুমে যাওয়া, ঘুম থেকে জাগার সময়, নামাজের সময় কর্তাকে ডেকে তোলার কাজও করে লিওন। ডাকলে মিউ মিউ শব্দে দ্রুত সাড়া দেওয়া লিওন বেশ জনপ্রিয় পুরো ভবনের বাসিন্দাদের কাছে।

আকস্মিকভাবে একদিন লিওনের মালিকানার দাবি তোলেন ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল মো. অনিক। রিজিয়া বেগম যে ভবনে থাকেন ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কনস্টেবল অনিক।

লিওনের পালিতা ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া বেগম জানান, এই বিল্ডিংয়ে একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল অনিকের দাবি আমাকে খুবই হতবিহ্বল করেছে। তার মালিকানা দাবিতে আমি তাজ্জব। তার এ দাবি আমার একটি মেয়েকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টারই নামান্তর। রিজিয়ার পরিবারের দাবি, লিওনকে না দিলে তাদের ক্ষতি করা এবং বড় ধরনের বিপদ ঘটানোর হুমকি দিয়েছেন কনস্টেবল অনিক ও তার পরিবার।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল মো. অনিকের ক্ষমতার অপব্যবহার, বিড়াল লিওনকে বল প্রয়োগ করে নিয়ে যেতে চাওয়া ও নানা হুমকির প্রতিকার চেয়ে গত ১৩ আগস্ট জেলা পুলিশ কার্যালয়, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপিস কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে লিখিত অভিযোগ করেছেন রিজিয়া বেগম।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কেউ করেননি।

তবে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল অনিক বলেছেন, বিড়াল ছানাটি আমাদেরই। এমন না আমি বিড়াল খুব পছন্দ করি। উনি পালার কথা বলে বিড়ালটি মাঝে গ্রামে পাঠিয়েছিলেন। সেটি জেনেই আমার স্ত্রী কথা বলতে গেলে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। আমিই পরে বলেছি বিড়াল ফেরত দিতে হবে না। কিন্তু বিষয়টি অনেক বড় করা হয়েছে। হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ভবনে আরও অনেকেই থাকেন। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে, তদন্তে যদি আমি দোষী হই, শাস্তি মাথা পেতে নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

জবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা দিতে চায় শিবির, অনুমতি দেয়নি কমিশন

ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় বড় অগ্রগতি

এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

পুরুষদের প্রস্টেট চেক করানো কেন জরুরি

১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫২ জনের গণশুনানি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় ঢাকা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই : ইরান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধে বৃদ্ধ নিহত

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

হুমকির মুখে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় গ্রিড লাইন

১২

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

১৩

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

১৪

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৫

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

১৭

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৯

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

২০
X