কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেভাবে সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করবেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি খাতে পেনশনের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগামী দিনে বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পেনশন সুবিধা ভোগ করা যাবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বকর্মে নিয়োজিত ও স্বল্প-আয়ের নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বহুলপ্রত্যাশিত এই ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকে কেউ চাইলে এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে যুক্ত হতে পারবেন। এ জন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেটি হচ্ছে www.upension.gov.bd

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম, আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য থাকছে সমতা স্কিম।

যেভাবে আবেদন করবেন

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার প্রথমেই ‘ইউপেনশন’ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর একটি পাতা আসবে, সেখানে লেখা থাকবে, ‘প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনো ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’ ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছে পেনশন কর্তৃপক্ষ। এরপর ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি- এ চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে। ক্যাপচা দেওয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা আসবে। সেখানে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এ তথ্যগুলো দেওয়া আছে)। তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লেখার পাশাপাশি পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, শিক্ষক, আইনজীবী, দিনমজুর, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ রয়েছে। সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের পাতায় (স্কিম তথ্য) যেতে হবে।

এরপর স্কিম তথ্যের পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক তিনটি অপশন রয়েছে। ধরন বাছাই শেষে ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে। ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম ও ব্যাংকের শাখার নাম লিখতে হবে। এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।

‘সম্পূর্ণ ফরম’ নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখা যাবে। সেখানে কোনো তথ্য ভুল থাকলে আবার শুরু থেকে গিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। তবে সব তথ্য ঠিক থাকলে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করা যাবে।

এরপর পেমেন্ট পেজ আসবে। এখানে স্কিমের নাম, চাঁদা প্রদানের ধরন ও কত টাকা চাঁদা সেটি দেখাবে। সঠিক থাকলে পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট বা ই-ওয়ালেট, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ভিসা ও মাস্টার কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং যেমন রকেট, বিকাশ, নগদ, উপায় বা ট্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে একই সার্ভিসের জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পেমেন্ট/কর্তন হলে দ্বিতীয় বার পেমেন্ট না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার পূর্বে কার্ড এর গেটওয়েতে যাওয়ার পরে কার্ড এর প্রথম সংখ্যা আগে থেকেই লেখা আছে কিনা খেয়াল করুন। প্রথম সংখ্যা লেখা থাকলে প্রথম সংখ্যা বাদ দিয়ে বাকি সংখ্যা দিন।

এর আগে, গত রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগের ২১ নেতা-কর্মী কারাগারে

পদত্যাগের হিরিক বৈষম্যবিরোধী বাঙলা কলেজ শাখায়

ঢাবির সূর্য সেন হলে ঠাণ্ডা পানির মেশিন বসালো শিবির

ছাত্রদলের কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ইস্যুতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন স্পষ্ট করতে সরকারের বিবৃতি

কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে বিলুপ্ত হলো এনবিআর

পাবজি মোবাইল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে কাজাখস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশের A1 Esports

পাকিস্তানের হাইকমিশনারের ঢাকা ত্যাগ নিয়ে নানা গুঞ্জন

সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার 

আইইবির সাবেক কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আর নেই

১০

স্মার্ট কার্ড জটিলতায় টিসিবির খাদ্যপণ্য পাচ্ছে না ১৮ হাজার পরিবার

১১

সফলভাবে সম্পন্ন হলো ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’

১২

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

১৩

একপাশে অটোরিকশা স্ট্যান্ড, অন্যপাশে ময়লার ভাগাড়

১৪

সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে

১৫

আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের মদদেই : এলডিপি মহাসচিব

১৬

যুদ্ধ করল ভারত-পাকিস্তান, পোয়াবারো চীনের

১৭

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১৮

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়েকে হত্যা করলেন বাবা-মা

১৯

তেল কম দেওয়ায় পেট্রল পাম্প সিলগালা করে দিল বিএসটিআই

২০
X