বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে গভীর শ্রদ্ধা ও স্মরণে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করেছিল। বিদেশে দূতাবাসে তাদের চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার রোধ করতে ইনডেমনিটি ও সামরিক আইন জারি করে। রাজনীতিবিদদের কারাবন্দি করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বিনা বিচারে হাজার দেশপ্রেমিক সেনাকে হত্যা করে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়কদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এভাবে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। জাতির পিতা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কুশীলব ও ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদের বিচার করতে হবে। খুনি জিয়ার বিচার করতে হবে।
শিশু প্রতিনিধি কাওসার বিন মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। দুজন শিশু প্রতিনিধি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রদর্শন করা হয় ‘ফ্রেমে বাধা সেই মুখগুলো’ প্রামাণ্য চিত্র। আলোচনা পর্ব শেষে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরার ভিডিও কন্টেন্ট, ডিজিটাল আর্ট ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে বিশেষ ‘শিশু সংখ্যা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন