কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আয়নাঘরে নিজের সেল দেখিয়ে দুঃসহ বর্ণনা দিলেন ব্যারিস্টার আরমান

হাতের ইশারায় নিজের সেল দেখান ব্যারিস্টার আরমান। ছবি : সংগৃহীত
হাতের ইশারায় নিজের সেল দেখান ব্যারিস্টার আরমান। ছবি : সংগৃহীত

‘অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা চোখ বেঁধে, হাত বেঁধে বসিয়ে রাখত। উঠতে দিত না, দাঁড়াতে দিত না। কেন, প্রশ্ন করলে বলত, স্যার আসবেন। চোখ বাঁধা অবস্থায় দেয়ালের দিকে ফিরে বসে থাকতাম।’

এভাবেই আয়নাঘরে কাটানো দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাসেম আরমান।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তিনটি এলাকায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় উপদেষ্টা।

রাজধানীর উত্তরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১-এর আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় আহমাদ বিন কাসেম উপস্থিত ছিলেন।

হাতের ইশারায় একটি ঘর দেখিয়ে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, ‘এখানে আমাকে আট বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল। দিনের বেলায় চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে রাখত। রাতের বেলায় পিছমোড়া করে বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে রাখত। কেন, জানতে চাইলে তারা কিছু বলত না। নামাজের সময় পর্যন্ত দিত না। আট বছর ধরে তারা আমাকে নারকীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছে।’

পরিদর্শনে থাকা প্রধান উপদেষ্টাকে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমি রোগা ছিলাম। মাঝেমধ্যে টাফ হয়ে যেত। এ রকম হতো যে ২৪ ঘণ্টা চোখ বেঁধে, হাত বেঁধে বসিয়ে রাখত। উঠতে দিত না, দাঁড়াতে দিত না। কেন, প্রশ্ন করলে বলত, স্যার আসবেন।’

চোখ বাঁধা অবস্থায় দেয়ালের দিকে ফিরে বসে থাকতাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বুঝতে পারতাম পেছন থেকে কেউ আসছে, মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজ হচ্ছে। দামি পারফিউমের ঘ্রাণ পেতাম...এখানে তো প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধ নাকে আসত। বুঝতাম সিনিয়র কেউ পেছন থেকে দেখছে।’

এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানতে চান, ‘ছাড়ল কখন?’

আরমান বলেন, ‘আমি পরে যেটা বুঝতে পারলাম ৬ তারিখ (আগস্ট) ভোরে। ৫ তারিখ পালাল, ৬ তারিখ ভোরে আমাদের ছেড়ে দিল। যখন আমাকে বের করে, আমি মনে করেছিলাম আমাকে মেরে ফেলবে।

আরমানের পরিবারের অভিযোগ, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট শেখ হাসিনার নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী তাকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং আট বছর গোপন কারাগারে আটকে রাখে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘চব্বিশের কার্ড খেলে কেউ নব্য ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে আমরা বসে থাকব না’

আশরাফুলের ব্যাটিং কোচ হওয়া নিয়ে যা বললেন শান্ত

ওজন বাড়তে থাকলে প্রথমে জানান দেয় শরীরের কোন অংশ? জানলে অবাক হবেন

উত্তরা খালপাড়ে ট্রান্সকম ডিজিটালের নতুন শোরুম উদ্বোধন

সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে জাতীয় বীর ঘোষণা, উত্তাল ইন্দোনেশিয়া

মুন্সীগঞ্জে দুগ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে গুলিতে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ ১

স্কুলে ভর্তির আবেদন ও লটারির তারিখ প্রকাশ

গাজীপুরে ৫ সংসদীয় আসনই থাকবে : হাইকোর্ট

দুই ম্যাচের অভিযানে ঢাকায় হামজা

চুপিসারে নিজ রাজ্য ভ্রমণ করে গেলেন মেসি

১০

নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সদস্যদের জরুরি নির্দেশনা

১১

মাত্র ৬০ দিনে নির্মূল হবে ফ্যাটি লিভার, খাদ্য তালিকায় রাখুন এই  ৫ খাবার

১২

কুমিল্লায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩

১৩

‘ঢাকা লকডাউন’ সফলের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা, অতঃপর...

১৪

আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

১৫

গণভবনে নিয়ে আপসের চেষ্টা করা হয়েছে : স্নিগ্ধ

১৬

বাগেরহাটে সংসদীয় আসন থাকবে ৪টি

১৭

ঢাকা ও করাচির আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নয়া মানুষ’

১৮

জামায়াত নানা অজুহাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে : মির্জা ফখরুল

১৯

ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গা, ৩১ বন্দি নিহত

২০
X