কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসলামিস্টদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: সিএ প্রেস উইং

ছবি : সিএ প্রেস উইং
ছবি : সিএ প্রেস উইং

বাংলাদেশে ইসলামিস্টদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি উদ্বেগজনক এবং বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) সিএ প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থা উত্থানের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভ্রান্তিকর এই চিত্রায়ন কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতি সরলীকৃত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকিও তৈরি করে।

নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যখন নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, তখন কট্টরপন্থী ইসলামিস্টরা একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। তবে এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে প্রেস উইং বলছে, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি উদ্বেগজনক এবং একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।

সিএ প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুলভাবে চিত্রিত বাছাইকৃত, উসকানিমূলক উদাহরণের ওপর নির্ভর করার চেয়ে বরং পরিস্থিতির জটিলতা এবং গত এক বছরে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তার স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেস উইং আরও বলছে, যদিও নিবন্ধটি ধর্মীয় উত্তেজনা এবং রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে, তবে এটি অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেছে। বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অথচ নিবন্ধে এর উল্টোটা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর এবং তার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে এসব ঘটনা ঘটেছিল রাজনৈতিক কারণে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই সমর্থন জোগাড় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ধর্মীয় নিপীড়নের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সুতরাং পুরো পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসেবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর। এটি প্রকৃত রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টার সাথে তার চলমান কাজ এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। সামাজিক সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ভুল তথ্যের বিস্তারের দ্বারা ম্লান হওয়া উচিত নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ থাকবে না’

ভারতের যে ৩২ বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ

দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে ছাত্র-জনতা, যান চলাচল বন্ধ

জেডআরএফের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হলেন অধ্যাপক মোর্শেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইনচ্যুত ২ ট্রেনের বগি উদ্ধার, চলাচল স্বাভাবিক

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ায় মেতেছে ফরিদপুরের প্রকৃতি

ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ইলিয়াস কাঞ্চনের

উত্তেজনা কমার শর্ত দিল পাকিস্তান

পাকিস্তান ছেড়ে দেশে ফিরছেন রিশাদ ও নাহিদ

ভারতের ভাতিন্ডা বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান

১০

পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন শাহবাজ

১১

নিষেধাজ্ঞার ২৫ দিনেও চাল পাননি উপকূলের ৮ হাজার জেলে

১২

সংযোগ সড়কে ধস, ৫ মাসেও নেই সংস্কারের উদ্যোগ 

১৩

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই

১৪

দাওয়াত না দেওয়ায় শেকৃবিতে ছাত্রদলের ২ গ্রুপের হাতাহাতি 

১৫

এক্সক্লুসিভ / ভারতকে ইসরায়েল হয়ে ওঠার বুদ্ধি মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের

১৬

ছুটি পেয়ে বাড়ি ফেরার ট্রেনেই সন্তান প্রসব নারীর 

১৭

ব্লকেড নিয়ে নতুন বার্তা হাসনাতের

১৮

পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের কর্মকর্তা নিহত

১৯

১৬ কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নাম বদল, বাদ পড়লেন শেখ হাসিনা ও স্বজনরা

২০
X