স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় হত্যা করতে অপশক্তি সক্রিয়। তাই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় জাগ্রত করতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীর উত্তম-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এ আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব ও বিশিষ্ট সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত, সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক স্বপন সাহা, মঞ্জু ধর, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভা সঞ্চালনা করেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
স্মরণসভায় হারুন হাবীব প্রয়াত ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি সি আর দত্তকে একজন দেশপ্রেমিক ও খাঁটি বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। সেই স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় জাগ্রত করতে হবে। আজ স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় হত্যা করতে অপশক্তি সক্রিয় আছে। এদেরকে রুখে দাঁড়াতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রাণা দাশগুপ্ত বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমরা ধরে রাখতে পারিনি। বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ডিন্যাশনালাইজ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করে অর্জন করা আমাদেরকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ করতে হচ্ছে- এটা রাষ্ট্র এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লজ্জার।
মন্তব্য করুন