শহরের তাপমাত্রা কমাতে ছাদ বাগান তৈরি, খালি জায়গায় সবুজায়নসহ নগর কৃষিতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের তৃতীয় দিনের ‘আরবান-পেরি আরবান এগ্রিকালচার ইন চেঞ্জিং ক্লাইমেট কন্ডিশন’ শীর্ষক রাউন্ড টেবিল বৈঠকে এই পরামর্শ উঠে আসে।
সেশনটির চেয়ারম্যান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, যত বেশি ছাদবাগান, খোলা স্থানে সবুজায়ন হবে ততো আমাদের শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমাদের সবারই আরবান এগ্রিকালচারে এগিয়ে আসা দরকার। আমাদের শহরের ভবন বাড়ছে, রাস্তা বাড়ছে, নির্মাণ এলাকা বাড়ছে তাই আমাদের অবশ্যই সবুজায়ন নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ আমাদের তাপমাত্রা মরুভূমির মতো হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের সব বাসিন্দার মাথায় কৃষি বিষয়টি কাজ করে। তারা কোথাও একটু সুযোগ পেলেই গাছ লাগানোর চেষ্টা করে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধানমন্ডির ৩৯%, লালমাটিয়ায় ৩৬% ভবনে রুফটপ গার্ডেন রয়েছে। উত্তরাতে আরও বেশি। তবে কিছু কিছু ভবনের মালিক ছাদবাগানের অনুমতি দিতে চান না, তাদের দাবি ছাদবাগানে ছাদ নষ্ট হয়ে যায়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ব্র্যাকে জলবায়ু পরিবর্তন প্রোগ্রামের প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান বলেন, আমি বেশ কয়েকটি নগর কৃষি এলাকা ভ্রমণ করেছি এবং সেখানে দেখেছি ওই সবুজ এলাকা কতটা গোছানো এবং তা শহরের তাপমাত্রাকে কমায়। স্বপ্নধারা হাউজিং তাদের প্লটগুলোতে সবজি চাষ করে এবং সেখানে প্রায় ১২০০ মানুষ কাজ করে। যা তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০০ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে সবুজায়ন হচ্ছে সঙ্গে মানুষের আয়ের উৎসের সৃষ্টি হলো।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ছাদবাগান নিয়ে একটি পরিকল্পনা করা দরকার। অনেকেই ছাদ নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে ছাদবাগান করতে চান না। কিন্তু ছাদবাগান যে বরং তার ভবনকে শীতল রাখতে সহায়তা করে সেটা বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বন-২) ড. মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং নগর বনাঞ্চল রক্ষা ও বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন