পাঁচজন সচিব এবং একজন গ্রেড-১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম ও জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. সহিদ উল্যাহ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন।
তারা সবাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সচিব হয়েছিলেন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন দীর্ঘদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
মুহম্মদ ইব্রাহিম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিএস হিসেবে দীর্ঘদিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষেরদিকে তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হন। পরে তাকে বদলি করে ভূমি আপিল বোর্ডে নেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে। কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না।
মন্তব্য করুন