২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ ভোট পড়েছে- এমন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ ও ২০২৪ নির্বাচনে প্রভাবকারীদের খুঁজছে বলেও জানান দুদক মহাপরিচালক।
দুদকে অভিযোগ এসেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সবগুলো জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের রাতের ভোট বাস্তবায়ন করা হয়। আর এই কাজে সহযোগিতা করেন পুলিশের তৎকালীন আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বেশ কিছু কর্মকর্তার নথিপত্রও হাতে পেয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। একইসঙ্গে এই ভোটে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের অবৈধ সম্পদও খুঁজছে দুদক। গেল জানুয়ারিতে এই অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের একটি কমিটি। সেই অনুসন্ধান দল এবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে কতটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে।
এদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সিইসির দায়িত্বপালনকারী কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুদকের এই মহাপরিচালক জানিয়েছেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা চাইলে তাকে এই অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখাতে পারে।
মন্তব্য করুন