জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয় এমন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আইসিটি বিভাগ আর কোনোভাবেই যুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির জন্য লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (এলএমএস) ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রতিটি উপজেলা এই উদ্যোগের আওতাভুক্ত করার বিষয়েও কাজ চলছে।
ফ্রিল্যান্সিং খাতে প্রশিক্ষণ প্রদানকারীদের ক্ষেত্রে কঠোর মানদণ্ড আরোপের কথা উল্লেখ করে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রশিক্ষকরাই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একটি বিস্তারিত ডাটাবেজ তৈরি করা হবে, যাতে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সমন্বয় ও যাচাই সহজ হয়।
কর্মশালায় আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী জানান, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের আধুনিকায়নের পাশাপাশি কর্মএলাকা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ এবং বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাস্তবায়নাধীন ‘হার পাওয়ার প্রকল্প : প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন