দৈনিক কালবেলার প্রথম পাতায় গত ২৭ জুন (শুক্রবার) প্রকাশিত ‘নন-ক্যাডারে সুপারিশ, চাকরি পেয়েছেন ক্যাডারে’ শীর্ষক সংবাদটি সঠিক নয় বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২৯ বিসিএসে একটি নির্দিষ্ট আইনের নিয়োগকৃত সব কর্মকর্তা।
কালবেলায় পাঠানো লিখিত প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, ২৯তম বিসিএসের ২১ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অংশটি মানহানিকর। দুদক কোন ২১ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে তা বলেনি, অনুসন্ধান শুরু হয়নি, উপর্যুপরি তদন্তে প্রমাণও হয়নি। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে দুদকের অনুসন্ধানের আগেই ২১ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা নিয়ে কোনো পক্ষের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে, যা বিনাদোষে আমাদের সামাজিক-মানসিক ক্ষতি করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে তারা দাবি করেন, এসআরও ৫৫-এর গেজেট প্রকাশের পর এসআরওটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট ডিভিশন একটি আদেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকারপক্ষের আপিলের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের প্রদত্ত রায় খারিজ করে এসআরও ৫৫ বহাল করেন। হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করায় আমাদের চাকরিতে যোগদান করতেও দেরি হয়। আমাদের নিয়োগ সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে সরকারের সিদ্ধান্তে হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমাদের কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাছাড়া পিএসসি সুপারিশ করেছে ২৯ বিসিএসের ৩১ কর্মকর্তাকে, দুদক কোন ২১ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে তা বলেনি। হঠাৎ করে ২১ কর্মকর্তার নাম সামনে আনায় সব মহলে একটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের নিয়োগকে বৈধ ও আইনানুগ হয়েছে মর্মে রায় দেওয়ার পরও দুদকের তদন্তাধীন বিষয়ে নামসহ শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ রিপোর্ট করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
মন্তব্য করুন