বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের বিশেষ আইনের অধীনে হওয়া ৩৭টি এলওআই ইস্যুকৃত সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাতিলকৃত সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর পুনর্বিবেচনা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতির (বিএসআরইএ) নেতারা।
শনিবার (০৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএসআরইএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মোস্তফা আল মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার রোজেল, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল আলম, আবু তাহের, শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিতাই পদ সাহা প্রমুখ।
এখানে উল্লেখ্য করা হয়, গত ১ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বাতিল হওয়া ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে, এটি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে আমরা লক্ষ্য করছি, এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। কিছু প্রকল্পে মাত্র একজন দরদাতা অংশ নিয়েছে, আবার কিছুতে কেউই আগ্রহ দেখাননি। আমরা মনে করছি আগের প্রকল্পগুলো বাতিল করায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাতিলকৃত প্রকল্পগুলোতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ হয়েছে। আমরা বাতিলকৃত প্রকল্পগুলো পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটি দেশের নবায়নযোগ্য খাতের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিশেষভাবে সব সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর ঘটবে।
তিনি বলেন, বাজেটে ইনভার্টারের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার শিল্পের অন্যান্য যন্ত্রপাতির ওপর করহ্রাসের প্রতিফলন থাকা দরকার। মাউন্টিং স্ট্রাকচার, ডিসি ক্যাবল, কন্ট্রোলার, ব্যাটারি ও সোলার পাম্পের ওপর উচ্চ শুল্ক বিদ্যমান। এসব পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমিয়ে সহায়ক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।
মন্তব্য করুন