গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল ঘানি। কমিটিতে আরও থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন করে অতিরিক্ত সচিব।
কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনরায় নিশ্চিত করছে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি সহিংসতা, প্রাণহানি বা যে কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে বুধবার দিনভর চলা সংঘর্ষের পর রাতে পুরো এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি শুরু হয়েছে যৌথবাহিনীর অভিযান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, কারফিউ চলাকালে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গোপালগঞ্জে সংঘটিত অরাজকতায় যারা দোষী তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ বিষয়ে তথ্য ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গোয়েন্দাদের কাছে কিছু তথ্য ছিল, কিন্তু এ ধরনের বড় ঘটনা ঘটার বিষয়ে তারা অবগত ছিল না।
এনসিপি নেতাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা সম্পর্কে অভিযোগের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে প্রত্যেকের নিজের মতামত রয়েছে, সবাই তাদের বক্তব্য দেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা গতকালও ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন