মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে ঢাকার দূতাবাস। এতে ভিসা আবেদনে জাল নথি খুঁজে পেলে, অথবা আবেদনকারী সম্পর্কে নিরাপত্তাবিষয়ক কোনো সন্দেহজনক তথ্য পেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করার কথা জানানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফেসবুকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভিসা আবেদনে আমাদের কনস্যুলার অফিসাররা কোনো জাল নথি খুঁজে পেলে, অথবা আবেদনকারী সম্পর্কে নিরাপত্তাবিষয়ক কোনো সন্দেহজনক তথ্য পেলে, সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে আমরা তা জানাই। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধী বা অসাধু ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে আমরা একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
এর আগে শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল এবং ভুয়া নথিপত্র তৈরির প্রযুক্তি সম্পর্কে সবসময় জানেন। তথ্য গোপন করা বা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা গুরুতর অপরাধ। এর ফল হতে পারে আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও ফৌজদারি মামলা।
এর আগে গত ১০ জুলাই এক পোস্টে দূতাবাস জানিয়েছিল, ভিসা আবেদনকারীদের ডিএস-১৬০ ভিসা আবেদন ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারী নাম বা হ্যান্ডল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, আবেদনকারীরা তাদের আবেদনপত্রে দেওয়া সব তথ্য সঠিক ও সত্য বলে স্বীকার করে তবেই তা স্বাক্ষর করেন ও জমা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য গোপন করলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।
মন্তব্য করুন