হজ ও ওমরাহ মেলা আগামী ১৪ আগস্ট (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর উদ্যোগে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ১৬ আগস্ট (সোমবার) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ আয়োজন।
হজ মুসলিমদের পাচঁটি স্তম্ভের একটি এবং হজযাত্রীরা আল্লাহ তায়ালার মেহমান। তারা যেন সুন্দরভাবে এ মহান ইবাদাত পালন করতে পারেন, তাদের যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতেই সরকার অনুমোদিত হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে।
২০২৬ সালের হজ কার্যক্রম আরও সুশৃঙ্খল, হয়রানিমুক্ত ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন হাব সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার। তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা এবার আগের চেয়ে আরও বেশি জিরো টলারেন্স নীতিতে যাচ্ছি। এ মেলায় আমাদের ইসি কমিটিসহ এজেন্সি মালিকগণ সরাসরি উপস্থিত থাকবেন। ফলে হজযাত্রী হয়রানির সুযোগ নেই তবুও কোনো অনুমোদিত এজেন্সি যদি যাত্রী হয়রানিতে জড়ায়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
সৈয়দ গোলাম সরওয়ার আরও বলেন, মেলা চলাকালীন হাব, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় থাকবে, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রতি বছরই দেখা যায় সাধারণ মানুষ অসাধু ও অবৈধ এজেন্সির চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত ও প্রতারিত হয়। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকে অতিরিক্ত খরচ, ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হন। এসব বন্ধে একটি স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও একীভূত ব্যবস্থার প্রয়োজন, যার একটি বড় অংশ হচ্ছে এ জাতীয় পর্যায়ের হজ ও ওমরাহ মেলা। বৈধ হজ এজেন্সি ও হজ-ওমরাহ যাত্রীদের মধ্যে এ মেলা যোগসূত্র তেরি করবে।
এবারের আয়োজনে প্রায় ১৫০টি অনুমোদিত হজ ও ওমরাহ এজেন্সি অংশ নিচ্ছে, যারা হাজি ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ও তথ্যসেবা প্রদান করবে। অংশগ্রহণকারীরা নিজের সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন। এ ছাড়া টিকিট বুকিং, অর্থ লেনদেন এবং অন্যান্য ভ্রমণ-সম্পর্কিত সহায়তার জন্য মেলায় উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন ব্যাংক ও এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা।
হাবের সহসভাপতি শামীম সাঈদী বলেন, যারা আল্লাহর ঘরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা যেন নির্বিঘ্নে আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন সে লক্ষ্যেই এ আয়োজন। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, অনেক হাজি হজক্যাম্পে এসেও শেষ মুহূর্তে টিকিট না পেয়ে যেতে পারেননি। এমন পরিস্থিতি রোধে এবার শুরু থেকেই সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন