কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চলতি বছরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট দীর্ঘস্থায়ী আকার ধারণ করায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, চলতি বছরই এই ইস্যুতে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসিয়ান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা ও প্রভাব এই সংকট সমাধানে কাজে লাগতে পারে। রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণে মালয়েশিয়ার ভূমিকা এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বপূর্ণ অবস্থান দেশটিকে একটি বিশেষ জায়গায় দাঁড় করিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আশা করছি মালয়েশিয়া তাদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে আলোচনাকে এগিয়ে নেবে, যেন এ সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।’

নতুন ঢলের সতর্কতা

ইউনূস সতর্ক করে জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে রোহিঙ্গাদের নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। গত ১৮ মাসেই প্রায় দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা এসে যুক্ত হয়েছেন। এর আগে থেকেই দেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের দেখভালের জন্য দেওয়া সব তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব চাপে পড়েছে।

তিন সম্মেলনের রূপরেখা

অধ্যাপক ইউনূস জানান, এ বছর ৩টি সম্মেলনের আয়োজন করা হবে— প্রথম সম্মেলন : আগস্টের শেষের দিকে কক্সবাজারে, রোহিঙ্গা আগমনের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে।

দ্বিতীয় সম্মেলন : সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে।

তৃতীয় সম্মেলন : বছরের শেষদিকে কাতারের দোহায়।

অচলাবস্থার কারণ

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের পরই রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশে। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত কার্যত থমকে আছে। ২০২১ সালে মিয়ানমারে নতুন করে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। মানবিক কারণে মালয়েশিয়া প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে, যদিও দেশটি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএল: কোন দলে কে থাকলেন, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা

পাবলিক রিলেশনস অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

দাবি পূরণের আশ্বাস, বিচারকদের আজকের কলমবিরতি কর্মসূচি স্থগিত 

১৬ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

বিএনপি যা অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে : খোকন

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, মৃত্যু ৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

সকালের কিছু ভুল অভ্যাসেই বাড়তে পারে হার্টের ঝুঁকি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে জরুরি অভিযোগ করছে লেবানন

ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু 

১০

রক্তক্ষয়ী হামলার মধ্যেই কাতারে কঙ্গো শান্তি চুক্তি

১১

তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা : মনিরুল হক চৌধুরী

১২

আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৩

ব্র্যাক এনজিওতে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

১৪

চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০

১৫

১৬ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

১২০০ টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে হত্যা, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

১৮

জালে আটকা শঙ্খচিল ফিরল আপন ঠিকানায়

১৯

রাজধানীতে কলেজের সামনে বাসে আগুন

২০
X