সরকারি চাকরির শূন্য পদ দ্রুত পূরণের লক্ষ্যে ১০ থেকে ১২তম গ্রেডের নিয়োগে প্রার্থীদের অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকার কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা চাকরি ছেড়ে দিলে সেখান থেকে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ হবে এক বছর।
এর আগে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখার নিয়ম চালু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের সব নিয়োগেই অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নিয়মে সরকারি দপ্তরে দীর্ঘদিন পদ ফাঁকা থাকবে না। চাকরিপ্রার্থীদেরও বারবার আবেদন করতে হবে না, ফলে সরকার ও প্রার্থীর খরচ দুই-ই কমবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দিতে হলে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি পদের জন্য পরীক্ষার মেধাক্রম অনুযায়ী দুজন প্রার্থীর নাম সিলগালাকৃত খামে সংরক্ষণ করা হবে। কোনো পদ ফাঁকা হলে সেই অনুযায়ী প্রার্থীকে ফোন, এসএমএস ও ডাকযোগে জানানো হবে।
তবে অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে মূল নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের পরে। একই দিনে একাধিক প্রার্থী নিয়োগ পেলে মেধাক্রম, বয়স বা শিক্ষাবর্ষের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা ঠিক করা হবে।
মন্তব্য করুন