বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও জনগণের কল্যাণকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রতিবছর যে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়, সেটি কেবল একটি অঙ্ক নয়। ওই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হলে বাংলাদেশের জিডিপি আরও বড় হতো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ত এবং জনগণের জীবনমান উন্নত হতো।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতিই করে না, বরং গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ওপর হামলা, হুমকি ও হয়রানি বাড়লে রাষ্ট্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। সহিংসতা ও ভয়ের পরিবেশে কখনোই গণতন্ত্র পুনর্গঠন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
টিআই চেয়ারপারসন জোর দিয়ে বলেন, গোপনীয়তাই দুর্নীতির প্রধান চালিকাশক্তি। তাই ‘বেনিফিশিয়াল ওনারশিপ ট্রান্সপারেন্সি’ নিশ্চিত করতে খসড়া আইন দ্রুত পাস করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিদেশে বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোকে সমৃদ্ধ করার জন্য নয়; তা অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভ্যালেরিয়াঁ বলেন, সাংবাদিকরা তথ্য গোপন সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাদের সুরক্ষা ছাড়া দুর্নীতি দমন বা সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. সুমাইয়া খায়ের।
মন্তব্য করুন