

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং তাদের পরিবারের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও করপোরেট ডিসকাউন্ট হেলথ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও করপোরেট ডিসকাউন্ট হেলথ কার্ড বিতরণ আয়োজিত হয়।
এতে ক্লাবের প্রায় ৩০০ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস সম্পর্কিত ‘আরবিএস’ পরীক্ষা রক্তের নমুনা সংগ্রহ এবং ব্লাড প্রেশার চেক-আপসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫০ টাকায় করপোরেট ডিসকাউন্ট হেলথ কার্ড এবং ১২০০ টাকায় প্যাকেজে ৯টি নয়টি পরীক্ষা হেলথ চেক-আপ করা হয়। (সিবিসি, ক্রিয়েটিনিন, আরবিএস, লিপিড প্রোফাইল, এইচ বিএস এজি, এস জি পি টি, ইউরিন আর ই, টি এস এইচ, ইসিজি)।
আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও করপোরেট ডিসকাউন্ট হেলথ কার্ড উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইউব ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনক হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক এ কে এম মহসীন, এবং ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের, এজিএম মুহা. হাফিজুর রহমান, বারাকাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডিরেক্টর মো. নজরুল ইসলাম শাওন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (বিপণন ও মিডিয়া) হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল, পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. সোহরাব আকন্দ বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পের কো-অর্ডিনেটর মো. হিরো মিয়াসহ ডাক্তার নার্স টেকনোলজিস্ট প্রমুখ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলেন, সাংবাদিকরা যদি সচেতন না হই তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা আরও মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করব। যেন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাদের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালকে বরাবরই আমাদের সাংবাদিকদের জন্য দীর্ঘপথ চলার সাথী হয়ে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আরেকটি কথা হলো, আমাদের গাড়ি ঠিক রাখার জন্য আমরা দ্রুত ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই অথচ আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কখনো হেলথ চেক-আপ করি না। অথচ আমাদের শরীরে এটি বেশি দরকার। স্বাস্থ্য হলো সকল সুখের মূল।
ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিটি করপোরেট হাউসে যাওয়ার চেষ্টা করছি যেন প্রতিবছর অল্প কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেমন সিবিসি, ইউরিনআরই, তাহলে প্রাইমারি রোগ ধরা পড়ে। এ ছাড়া কিডনির ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছেন ক্রমান্বয়ে এর কারণ হলো ডায়াবেটিস এবং পেশার বিশেষ করে সাংবাদিকদের বাহিরে খাবার-দাবারের বেশি খেতে হয় তাই ডায়াবেটিস এবং প্রেশার আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ফিফটি পার্সেন্ট রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে এজিএম মুহা. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেন নিরলসভাবে মানবতার সেবক হিসেবে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যেতে পারি, এই দোয়া প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য করুন