৩৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার মনে করেন, সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে। আর ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার জামায়াতকে সমর্থন করে। ফলে দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিতে চান ৬৫ শতাংশ মানুষ।
বেসরকারি সংস্থা ইনোভিশনের চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। চলতি মাসে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা থেকে ৯ হাজার ৩৯৮টি পরিবার/খনার ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটারের ওপর জরিপটি চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ ভবনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
জরিপ অনুযায়ী, গত ছয় মাসে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন কিছুটা কমলেও বেড়েছে আওয়ামী লীগের। আর আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের পক্ষে-বিপক্ষে প্রায় সমানে সমান মতামত এসেছে। ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোটার মনে করেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ সব দলের অংশ নেওয়া উচিত। আর বিচারের আগে চান না ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ মানুষ।
স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে জামায়াতের ওপর সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার। যেখানে এনসিপি ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং বিএনপির অবস্থান ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া কম শিক্ষাগত যোগ্যতার ভোটারদের কাছে এগিয়ে বিএনপি। আর উচ্চ শিক্ষিতরা এগিয়ে রেখেছেন জামায়াতকে।
ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি দিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্বের পিপলস ইলেকশন পালস জরিপ, যা ২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮টি বিভাগের ১০ হাজার ৪১৩ ভোটারের তথ্য সংগৃহিত হয়।
৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোটার মনে করেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ সব দলের অংশ করা উচিত। বিচারের আগে উচিত নয় তার পক্ষে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মতামত দেননি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোটার।
ছয় মাসে আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। বিএনপির সমর্থন কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ এবং জামায়াতের সমর্থন কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। কম শিক্ষাগত যোগ্যতার ভোটারদের কাছে এগিয়ে আছে বিএনপি। আর উচ্চ শিক্ষিতদের ভোটে এগিয়ে জামায়াত।
অধিকাংশ মানুষের মতে, ভারত (৭২ দশমিক ২ শতাংশ) ও পাকিস্তানের (৬৯ দশমিক শূন্য শতাংশ) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলা উচিত।
মন্তব্য করুন