

আইনের সংঘাতে আসা শিশুদের সংশোধন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৩টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশুর অবস্থান গাজীপুরের টঙ্গীর বালক শাখায়। ৩০০ আসনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ৭৫০ শিশু অবস্থান করছে এই কেন্দ্রে। যেখানে সেবার ন্যূনতম মানদণ্ড নিশ্চিত করা খুবই কঠিন।
যশোরের পুলেরহাট কেন্দ্রেরও একইচিত্র। কেবল আবাসনই নয়, তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তা সহজলভ্য করতে এককথায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসীদের সেবার মান বাড়াতে যুগোপযোগী অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী গাজীপুরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) উদ্যোগে আয়োজিত ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা ও সেবার মনোন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গাজীপুরে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান। সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলিং বিষয়কে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রম হিসেবে আরও শক্তিশালী করণ এবং পেশাদার সমাজকর্মীর স্বীকৃতির লক্ষ্যে অ্যাক্রিডেশন বডি গঠনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন সমাজসেবার ডিজি।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক। ‘আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক যত্ন ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ : এসইউকে, টঙ্গীর একটি কেস স্টাডি’ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এমরান খান।
কেন্দ্রের প্রবেশন অফিসার শাকিল মাহমুদের সঞ্চালনায় সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডিশ দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-সিডার হিউম্যান রাইটস অ্যাডভাইজার মিজ পাওলো ক্যাস্ট্রো নেদারস্টাম এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেড অব চাইল্ড প্রটেকশন মিজ নাতালি ম্যাকলি।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সিস্টার লিপি গ্লোরিয়া রোজারিও, ইউনিসেফ বাংলাদেশের জাস্টিস ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল এক্সপার্ট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিটিএসবি) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে এবং গাজীপুরের স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইনি সহায়তা সংস্থা-ব্লাস্ট, উন্নয়ন সহযোগী এসওএস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন