

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনে বুধবার বিকেলে হঠাৎ ভাঙচুরের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলের দিকে এক ব্যক্তি আচমকা ক্যান্টিনে ঢুকে চেয়ার-টেবিলসহ ভেতরে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় ক্যান্টিনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত বাইরে চলে যান। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর মধুর ক্যান্টিনের মালিক অরুণ কুমার দে বলেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। পরে কর্মচারীদের কাছ থেকে ভাঙচুরের খবর পান। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছেন বা কী উদ্দেশ্যে ক্যান্টিনে প্রবেশ করেছিলেন—তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছেন। তিনি বলেন, ভাঙচুরের সময় ওই ব্যক্তির আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়াসহ অস্বাভাবিক আচরণ করায় প্রাথমিকভাবে তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হয়েছে।
মন্তব্য করুন