বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেছেন, জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির একান্ত আপনজন দেশপ্রেমিক পরোপকারী সেরা কর্মকর্তা। জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রণাঙ্গণে সাহসীকতার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনাপ্রধান অব. জেনারেল মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বীর বিক্রমের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন। রণাঙ্গণে যখন আহত হয়েছিলেন তখন তার সহকর্মীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে চেয়েছিলেন কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমান যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন। যুদ্ধে পাকসেনাদের পরাজিত করেই তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আজকের এই দিনে আমরা বলতে চাই, জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একজন প্রিয় এবং তিনি ছিলেন একজন বলিষ্ঠ নেতৃত্বধানকারী সেনাপ্রধান। তার আমলেই সেনাবাহিনীদের ভেতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসে এবং আজকের যেই সেনাবাহিনী এই সেনাদের তিনি শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে এনেছিলেন। তার কাছে বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আশা করে আজকের এই সেনাবাহিনী জেনারেল মুস্তাফিজের আদর্শ অনুসরণ করবে এবং দেশকে বলিষ্ঠভাবে পরিচালনা করবে, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়বে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত তামাকবিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বারডেম হাসপাতাল বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী উপস্থাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল।
বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি নাহিদ রোকসানা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ ন্যাপের সহসভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য লোকমান হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান।
আরও বক্তব্য রাখেন- কৃষক লীগ নেতা খন্দকার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, জনতা ফ্রন্টের সভাপতি আবু আহাত দীপু মীর, জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি শেখ বাদশাহ মিন্টু, জাসদ শাজাহান সিরাজের সহসভাপতি এম এ জাব্বার, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন